অধিকাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে

প্রকাশিত: ১১:১২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬

অধিকাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে বলে জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

এছাড়া বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির প্রার্থী মাহবুবুর রহমান ইসমাইলের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

রোববার নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে শহীদ হানিফ খান মিলনায়তনে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানায়।

মেয়র পদপ্রার্থীদের বিষয়ে সংস্থাটির কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক দিলীপ কুমার বলেন, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, উনার বর্তমানে দুটি মামলা রয়েছে, অতীতে চারটি ছিল। আরেকজন সাখাওয়াত হোসেন খান। তার বর্তমানে দুটি ফৌজদারি মামলা আছে, অতীতে ছিল দুটি। অন্য যে পাঁচজন মেয়র প্রার্থী, তাদের বিরুদ্ধে বর্তমান বা অতীতে মামলার সংশ্লিষ্টতার কোনো তথ্য আমরা পাইনি।

দিলীপ কুমার সরকার বলেন, সাধারণ ভোটাররা যাতে ভালো ও যোগ্য প্রার্থী চেনে নিতে পারেন। সে লক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলন। সাতজন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে দুজন কওমি মাদরাসা থেকে এসেছেন। তাদের নিয়ে প্রশ্ন আছে। এছাড়া আরও দুজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে।

সুজন জানায়, মোট প্রার্থীর ৭১ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে এবং ৮০ শতাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পাঠ করা লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১৫৬ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশের বিরুদ্ধে বর্তমানে, ২৭ দশমিক ৫৬ শতাংশের বিরুদ্ধে অতীতে এবং ১২ দশমিক ৮২ শতাংশের বিরুদ্ধে উভয় সময়ে মামলা ছিল। এখানে ৩০২ ধারা বা হত্যার আসামি পেয়েছি সাতজনকে। আর ৯ জনকে পেয়েছি, যাদের বিরুদ্ধে অতীতে মামলা ছিল। উভয় সময় হত্যা মামলা ছিল বা আছে দুজনের বিরুদ্ধে।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন খানসহ মেয়র পদে ৭ জন প্রার্থী লড়ছেন।

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল