১১ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৫২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০১৬
গত বুধবারের ভূমিকম্পে ছাত্রীনিবাসে ফাটল ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় সিলেট নার্সিং কলেজ সাত দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে পরীক্ষাও। শনিবার রাতে নার্সিং কলেজ বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয় বলে জানান কলেজ অধ্যক্ষ শিল্পী চক্রবর্তী।
পরবর্তীতে বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, বিকেলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি পরিদর্শনে যান সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন। তিনি কলেজ বন্ধের পরামর্শ দেন।
জানা যায়, গত বুধবারের ভূমিকম্পে ছাত্রীনিবাসের শশতাধিক স্থানে ফাটল ধরে। তবু কিবল্প না থাকায় এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই বসবাত করতে হয় ৩৭৫ ছাত্রীকে। এ অবস্থায় শনিবার ভোরের ঝড়ে কেঁপে ওঠে পুরো ছাত্রী হোস্টেল। এতে ছাত্রীদের মধ্যে দেখা দেয় আতঙ্ক। ভয়ে চিৎকার শুরু করে ছাত্রীরা।
এরফলে শনিবার সকালে ছাত্রীনিবাসে থাকা ৩৭৫ শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার মৌখিক নির্দেশ দেন কলেজ অধ্যক্ষ শিল্পী চক্রবর্তী। তাৎক্ষণিকভাবে ক্লাসরুমেই ঠাঁই হয়েছে হোস্টেলের ৩৭৫ শিক্ষার্থীর।
১৯৮২ সালে সিলেট নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার নামে ওই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। ৪ তলা বিশিষ্ট ওই প্রতিষ্ঠানের নিচতলায় চলত একাডেমিক কার্যক্রম। আর বাকি তলাগুলোতে ৫০ জন করে ১৫০ ছাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা ছিল। তবে শুরু থেকেই নির্ধারিত আসনের চেয়ে বেশি ছাত্রী আছেন সেখানে।
২০১১ সালে ওই ট্রেনিং সেন্টারটি সিলেট নার্সিং কলেজে রূপান্তরিত হয়। করা হয় নতুন ভবনও। একপর্যায়ে পুরো চার তলা ভবনটিতে ছাত্রীদের আবসনের ব্যবস্থা করা হয়। ১৫০ থেকে আসনের সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ২৫০ আসনে। কিন্তু ওই হোস্টেলে বর্তমানে ৩৭৫ জন ছাত্রী থাকছেন।
হোস্টেলের শিক্ষার্থীরা জানান, বুধবার রাতের ভূমিকম্পে একটি ছাত্রীনিবাসে শতাধিক স্থানে ফাটল দেখা দেয়। এ সময় তাড়াহুড়ো করে হোস্টেল থেকে বের হতে গিয়ে শিলা, ববি দাস, শিল্পী নামের তিন ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে যান। পরে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
ফাটল দেখা দেয়ায় রাতেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পরিচালকসহ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হোস্টেল পরিদর্শনে যান। ওই সময় তারা ওই ফাটলে তেমন কোনো সমস্যা হবে জানিয়ে ছাত্রীদের হোস্টেলে থাকার পরামর্শ দেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চার তলা বিশিষ্ট হোস্টেলের প্রায় শতাধিক স্থানে ফাটল ধরেছে। এ ছাড়াও নিচতলার বারান্দা অনেকখানি ‘দেবে’ গেছে। ছাত্রীদের রুমে বই-খাতা, কাপড়ের ব্যাগগুলো গুটানো রয়েছে।
নিচতলার দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি রুমের দেয়ালে বড় ধরনের ফাটল রয়েছে। এটা গত বুধবারের ভূমিকম্পে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই রুমের ছাত্রীরা।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
সহ-সম্পাদক : জুমা কবীর মীম
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও অনামিকা এ/৩৪ পূর্ব শাহী ঈদগাহ, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭২২১৮৮৫৫১, ০১৭৫৫৮৬৬২২২, ০১৭১২৫৪০৪২০, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by M-W-D