আবারও বিদ্রোহের আশংকায় থেমে গেল সিলেট ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

প্রকাশিত: ৪:১৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৬

আবারও বিদ্রোহের আশংকায় থেমে গেল সিলেট ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

sylhet-jcd-photo-lll৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬, শুক্রবার: গত ৭ সেম্বেম্বর সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি স্বাক্ষরিত হয়। বৃহস্পতিবার ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় যান সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ। স্বক্ষরিত কমিটি রাজধানীর উত্তরা কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তুলে দেন তাদের হাতে।
এরপর থেকে শুরু হয় জল্পনা কল্পনা। ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ বলছে স্থানীয়রা পাঠাবেন প্রেস বিজ্ঞপ্তি আর স্থানীয়রা বলছেন কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে পাঠানো হবে প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
এই নিয়ে চলছে নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছোড়ি। আসলে কি ঘটছে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা গুঞ্জন। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি না পেলে আমি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠাতে পারছি না। আর সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের সভাপতিকে বলে দেওয়া হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য, কিন্তু কেন তারা দিচ্ছেন না তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এই বিষয়টি কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে অবগত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ জানান, কমিটির পূর্ণাঙ্গ নামের তালিকা আমাদের হাতে এসেছে। তবে কমিটি সবার সাথে আলাপ করে প্রকাশিত হবে।
একটি গোপন সূত্র জানাযায়, শুক্রবার রাত প্রায় ৮টা থেকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতির বাসায় ছাত্রদলের একটি গোপন বৈঠক চলছে। বৈঠকের পরে সিদ্ধান্ত আসতে পারে কমিটি এখন প্রকাশিত হবে নাকি ঈদের পরে প্রকাশিত হবে।
আরেকটি সূত্র থেকে জানাযায়, কমিটিতে বেশির ভাগ বিদ্রোহীরা স্থান পেয়েছেন। জেলা ও মহানগর সভাপতি এবং জেলা ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী অনেকে স্থান না পাওয়ায় এরই মধ্যে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। কমিটি প্রকাশের পর পর দেখা দিতে পারে নিজেদের মধ্যে চরম বিদ্রোহ। মূলত এমন আশংকা এড়াতেই চলছে এই গোপন বৈঠক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতা জানিয়েছেন কমিটি পূর্ণাঙ্গ প্রকাশে আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের হস্থক্ষেপ কামনা করছি। কমিটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশের পর পদত্যাগের কথাও আমাদের জানিয়েছেন কমিটিতে স্থান পাওয়া প্রায় ২ শতাদিক নেতা কর্মী কারণ জানতে চাইলে জানান, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ছোট-বড় না মেনে, ত্যাগী পরিশ্রমী নেতা কর্মীদের বাধ দিয়ে, জগন্নাথপুর ও ফেঞ্চুগঞ্জসহ বিভিন্না স্থান থেকে ছাত্রদলের অপরিচিত মুখ আন্দোলন সংগ্রামে যাদের কোন অবদান নেই এবং রাজপথে কোন ভূমিকা নেই, এমনকি কোন দিন দেখাও যায় নি, এধরনের কিছু ব্যাক্তিদের টাকার বিনিময়ে স্থান দেওয়া হয়েছে।
মেয়াদ শেষ হওয়ার ঠিক ৯ দিন পূর্বে হঠাৎ করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন নিয়ে চলছে নানা কৌতুহল। কেউ কেউ বলছেন বড় অংকের টাকার বিনিময়ে হাঠৎ করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে আসা হয়েছে। আবার অনেক ধারনা নিজেদের ডান-বামের লোকদের এই প্যাকেট কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। যা প্রকাশ করতে ভয় কাজ করছে তাদের মধ্যে। আবার এমনও ভয় দেখা দিয়েছে ফের যদি বাসাবাড়িতে হামলা চালায় ত্যাগী তৃণমূল ছাত্রদল নেতা কর্মীরা।
এ বিষয়য়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি (সিলেট বিভাগ) মাহবুবুল হক চৌধুরী (ভিপি মাহবুব) বলেন, কেন্দ্র থেকে যদি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দায়িত্ব নিয়ে আসা হয় তবে কেন তা প্রকাশ না করে এমন নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে তা আমার বোধগম্য নয়। তবে বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে শীঘ্রই পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম নাচন জানান, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধালণ সম্পাদকের সাথে আলোচনা প্রক্রিয়াধিন। কেন্দ্র থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে তা সাথে সাথে জানানো হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল