সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের কল্লগ্রামের ফারুক আহমদ (৪৫)। তিনি দীর্ঘ দিন যাবত গুরুতর অসুস্থ। ইতিপূর্বে তিন বার তার হাট্রএট্রাক হয়েছিল তার এক হাত ও পা অবস ছিল। কোন ছেলে সন্তান না থাকায় তিন ক্যাণ সন্তানে দীর্ঘ বছর তিনি যাবত শশুর বাড়িতে বসবাস করছেন।
আজ মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে শ্বশুর বাড়িতে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ফারুক আহমদের ভাতিজা কাদির আহমদ। তিনি অভিযোগ বলেন, চাচার সব সম্পত্তি নিজের নামে লিখিয়ে নেন চাচি কুলসুমা বেগম। এরপর তিনি চাচাকে নিয়ে বাপের বাড়ি পরগনার দিয়ানের চক গ্রামে চলে যান। কিন্তু, ১ সপ্তাহ পরে চাচাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
‘বিষয়টি হত্যা নয়; স্বাভাবিক মৃত্য’ বলে জানিয়েছেন এসএমপি’র শাহপরান (রহ.) থানার ওসি শাহজালাল মুন্সি। তিনি বলেছেন, ফারুক আহমদ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। একারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

নিহত ফারুক আহমদের স্ত্রী কুলসুমা বেগম জানান, আমার পরিবারের কোন উপার্জন কারী না থাকায় আমার ভাইরা পরিবার চালান এবং আমার স্বামীর সকল চিকিৎসা ও মেয়েদের পড়াশুনার খরচ তারা বহন করে আসছেন প্রায় বছর যাবত। প্রায় কয়েক বছর যাবত আমার স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়িতে বসবাস করে আসছি। আমার স্বামীর মৃতু নিয়ে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন তার বড় ভাইয়ের ছেলেরা। সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার জন্য

ময়না তদন্ত হলে বিষয়টি বেরিয়ে আসবে বলে জানান ওসি। তবে, স্বাভাবিক মৃত্যু হলে ময়না তদন্ত কেন হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, যেহেতু নিহত ব্যাক্তি স্বজনরা সন্দেহ করছেন ফারুক আহমদকে হত্যা করা হয়েছে। তাই ময়না তদন্ত করবে পুলিশ।
সুরমাগেইট ফাড়ির ইনচার্জ আলমগীর জানান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী কুলসুমা বেগম ও শ্যালক নজরুলকে থানা নিয়ে আসা হয়েছে। ময়না তদন্ত পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।