৩০শে জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৫২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০১৬
কুশিয়ারা নদীর ওপর ঢাকা-সিলেট রেললাইনের সবচেয়ে বড় রেলসেতু ফেঞ্চুগঞ্জে। সেতুটির ঠিক নিচ থেকে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে খননযন্ত্র (ড্রেজার) দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। এতে শত বছরের পুরোনো সেতুটি পাহাড়ি ঢলের ঝুঁকিতে রয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল বিভাগের (সেতু) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কুশিয়ারা নদীর ওপর ৮৭৮ ফুট দীর্ঘ রেলসেতুটি ১৯১৫ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণ করা হয়। নদীর ওপর রেলের যেসব সেতু রয়েছে, সেগুলো বর্ষার সময় বিশেষ নজরদারির মধ্যে রাখা হয়। পাহাড়ি ঢল নামার আগে, বিশেষ করে সেতুর উজান দিক অনেকটা সংরক্ষিত রাখা হয়।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের (শ্রীমঙ্গল) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আলী আজম প্রথম আলোকে বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পূর্ব দিক হচ্ছে উজান। নদী থেকে এভাবে বালু তোলায় সেতুটি পাহাড়ি ঢলের প্রবল স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুশিয়ারা নদীর রেলসেতুর ঠিক উজানে পাইপলাইন, সেতুর ঠিক নিচে রাখা হয়েছে খননযন্ত্র। ৩ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এ কাজ। তবে দিনে ওই খননযন্ত্রটি চালু করা হয় না বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে। প্রতিরাতে ভোর প্রর্যন্ত চলে বালু তোলার কাজ। পাইপের সাহায্যে সেতু থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি নির্মাণাধীন কালভার্টের কাছে বালু ফেলা হচ্ছে। বালু তোলা হচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) একটি সড়ক নির্মাণের জন্য।
যোগাযোগ করলে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী জিহান আল তুহিন বলেন, প্রকল্প এলাকায় কারা বালু ফেলছে,Ñএ বিষয়টি তাঁদের জানা নেই।
৪ এপ্রিল দুপুরে সিলেটগামী একটি ট্রেন আসার সময় ওই সেতু এলাকায় খননযন্ত্রসহ ছবি তুলতে গেলে বালু উত্তোলনকারীরা প্রথম আলোর আলোকচিত্রীকে বাধা দেন। ‘সরকারি কাজ’ দাবি করে একপর্যায়ে কয়েকজন বালু উত্তোলনকারী ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেন।
স্থানীয় লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বালু তোলার এ কাজ চলছে ফেঞ্চুগঞ্জের উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খসরু মিয়ার নেতৃত্বে। তাঁর সঙ্গে প্রভাবশালী আরও আটজন বালু ব্যবসায়ী রয়েছেন। সড়ক নির্মাণের কথা প্রচার করলেও মূলত বর্ষাকালে বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার উদ্দেশ্যেই বালু মজুত করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খসরু মিয়া বলেন, ‘জনস্বার্থে’ বালু তোলা হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর তীরের প্রায় ১৪টি গ্রামের মানুষদের জন্য একটি সড়ক নির্মাণকাজ বালুর অভাবে আটকে আছে। বর্ষার আগেই এ সড়ক নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে উপজেলা সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বালু তোলার এ কাজ চলছে।
উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না,Ñজানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হুরে জান্নাত কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে উপজেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য উপজেলা সহকারী কমিশনার, ভূমি (এসি ল্যান্ড) আনিছুর রহমান জানান, এ রকম কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি অবগত নন। নদী বা সেতুর নিচে এভাবে খনন করা অবৈধ। সরেজমিনে দেখে এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
সহ-সম্পাদক : জুমা কবীর মীম
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও অনামিকা এ/৩৪ পূর্ব শাহী ঈদগাহ, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭২২১৮৮৫৫১, ০১৭৫৫৮৬৬২২২, ০১৭১২৫৪০৪২০, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by M-W-D