একই শাক, একই শহর, দাম শুধু ভিন্ন

প্রকাশিত: ৫:৫৩ অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০১৬

একই শাক, একই শহর, দাম শুধু ভিন্ন

864126e5f0c9de86fe05014b526bb5d9-186_SYLHET-PHOTO-6-DT-9.06একই শাকের আঁটি, একই নগর। তবে এলাকাভেদে দাম ভিন্ন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিলেট নগরের ছয়টি হাটে সরেজমিনে দামের এমন হেরফের পাওয়া গেছে।
রমজান মাসে বিভিন্ন ধরনের শাকের প্রতি নগরবাসীর বিশেষ চাহিদা থাকায় সবজি ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম হাঁকছেন বলে ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের আম্বরখানা এলাকায় আঁটিপ্রতি পালংশাক ২০ থেকে ৪০ টাকা, কচুশাক ১৫ থেকে ৩৫, পুঁইশাক ১০ থেকে ২৫, লালশাক ১০ থেকে ৩৫, হেলেঞ্চা শাক ১০ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই শাক বন্দরবাজার এলাকায় ৫ থেকে ১৫ টাকা বেশি এবং রিকাবীবাজার এলাকায় ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
পাঠানটোলা এলাকায় আঁটিপ্রতি পালংশাক ১০ থেকে ৩০ টাকা, কচুশাক ১০ থেকে ৪০, পুঁইশাক ২০ থেকে ৩৫, লালশাক ২০ থেকে ৪০, হেলেঞ্চা শাক ২০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই শাক শিবগঞ্জ ও টিলাগড় এলাকায় ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
বেলা সাড়ে তিনটায় বন্দরবাজার এলাকায় শাক কিনতে এসেছেন ব্যাংক কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম। তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘যে শাক রমজানের আগে ১০ থেকে ২০ টাকা কমে কিনেছি, সে শাকের দাম এক লাফে দ্বিগুণ হয়ে গেছে।’ শাক ব্যবসায়ীরা বলেন, রমজানে ক্রেতাদের কাছে শাকের চাহিদা বেশি থাকে। এ অবস্থায় পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও তার প্রভাব পড়ে।
বাজারদরের এমন তারতম্য সম্পর্কে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ইতিমধ্যেই তিনজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং একজন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুরো রমজান মাসে বাজার তদারকি করতে চারটি দল গঠন করে দেওয়া হয়েছে। হুট করেই শাকের দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিও তাঁরা নজরদারিতে রাখবেন এবং অতিরিক্ত মুনাফাপ্রত্যাশী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল