সিলেট ৩রা মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০১৬
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট বেতারে আবহাওয়ার পূর্বাভাস ছিল এ রকম, ‘রাতে কিছু জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে…।’
রাত সাড়ে নয়টায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। আধা ঘণ্টা পর বজ্রপাত, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। এভাবে রাত ১০টা থেকে থেমে থেমে চলে মধ্যরাত ১টা ২০ মিনিট অবধি। রাত পৌনে দুইটার দিকে দেখা যায়, বজ্র-ঝড়-বৃষ্টি থেমে আকাশে চাঁদ উঠেছে। চারদিক আলোয় ফকফকা।
রাত পোহানোর পর গতকাল মঙ্গলবার ভোর থেকে রৌদ্রোজ্জ্বল দিন। প্রকৃতির এমন অবস্থা দেখে যেন বোঝার উপায় নেই, আগের রাতে ঝড়-বৃষ্টি-বজ্রে ছিল জবুথবু অবস্থা।
এভাবে শুধু সোমবার রাত নয়, ৭ এপ্রিল থেকে দিনে ও রাতে কখনো মুষলধারে বৃষ্টি, আবার ঝড়-বজ্রপাত। উজানে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় নদীতেও ঢল নামছে। পাহাড়ি ঢলে অকাল বন্যায় তলিয়ে যাচ্ছে হাওরের ফসল। ঘন ঘন বজ্রপাতে নিরবচ্ছিন্ন বৈদ্যুতিক সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। এপ্রিল মাসে সিলেট অঞ্চলে প্রকৃতির এমন বৈচিত্র্যে খোদ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষকেরাও বিস্মিত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয়ে সোমবার রাতে ১০৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সিলেটের আবহাওয়াবিদ কবির আহমদ গতকাল দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভারতের চেরাপুঞ্জির কাছাকাছি হওয়ায় সিলেট বৃষ্টিপ্রবণ অঞ্চল। সাধারণত জুন-জুলাইয়ের দিকে বৃষ্টিপাতের রেকর্ড রাখতে আমাদের তৎপর হতে হয়। বন্যা হয় বৈশাখের শেষে। এবার এপ্রিলের তিন সপ্তাহে ঝড়-বৃষ্টিপাতের যে রেকর্ড সংরক্ষিত হয়েছে, তা বিগত বছরের জুন-জুলাইকে ছাড়িয়ে গেছে।’
সোমবার রাতে ঝড়-বৃষ্টিতে নগরের বাগবাড়ি, লেকসিটি, শাহজালাল উপশহর, মদিনা মার্কেট, বালুচর, শাহি ঈদগাহ, হাওলাদারপাড়া, করেরপাড়া, নতুনবাজার এলাকায় কাঁচা বসতবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। এর আগে ৮ এপ্রিল রাতে শহরতলির খাদিমনগর বিসিক শিল্প এলাকাসহ কয়েকটি এলাকায় অর্ধশতাধিক গাছ উপড়ে গেছে। ২০ ও ২১ এপ্রিল ঝড়ের সঙ্গে সিলেটে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। সঙ্গে ছিল বজ্রপাত। শিলা ও বজ্রে নগরের সড়কবাতি বিকল হয়েছে।
প্রকৃতির এমন অবস্থায় নগরজীবনে ছন্দপতন দেখালেও গ্রাম এলাকার মানুষকে রীতিমতো দুর্যোগের মধ্যে পড়তে দেখা গেছে। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিলেট শহরতলির বাদাঘাট, শিবেরবাজার, টুকেরবাজার, জাঙ্গাইল, মোল্লারগাঁও, বাইশটিলা ও সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের পাশের হাওর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে শুধু তলিয়ে যাওয়া ফসল রক্ষার ব্যস্ততা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষ্ণ চন্দ্র হোড় বলেন, আগাম এ বন্যার কারণে অনেক বোরো ফসল তলিয়ে গেছে। এখন যদি রোদের কারণে বন্যার পানি কমেও যায়, তবু অনেক ফসল পচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : মোঃ আফছর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা (লিফটের-৮), জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭১২৫৪০৪২০, ০১৭১১৯৮৪০৬৫, ০১৭১৮৫৩৮০৪৫ , ০১৭১১-৩২৬০৯১, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by best-bd