এ্যাম্বুলেন্স পার্কিং নিয়ে বিরোধ, ওসমানী হাসপাতালের পরিচালকের বিরুদ্ধে পুলিশের জিডি

প্রকাশিত: ৪:০৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬

এ্যাম্বুলেন্স পার্কিং নিয়ে বিরোধ, ওসমানী হাসপাতালের পরিচালকের বিরুদ্ধে পুলিশের জিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে এ্যাম্বুলেন্স পার্কিং নিয়ে হাসপাতালের পরিচালক ও পুলিশের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার জেরে পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুস ছবুর মিঞার বিরুদ্ধে কতোয়ালি থানায় একটি সাধাণ ডায়রি করেছেন ওই হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই পলাশ মিয়া।

বুধবার রাত ৯ টার দিকে এই বাক্যবিনিময় হয়। এরপর থানায় জিডি করেন পুলিশ কর্মকর্তা।

সিলেট কতোয়ালি থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুহেল আহমদ জিডি করার কথা স্বীকার করে বলেন, জিডিতে এসআই পলাশ অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালের পরিচালক তাকে শারিরীক লাঞ্ছিত করেছেন।

ওসমানী হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক জানান, ওসমানী হাসপাতাল চত্বরে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের এ্যাম্বুলেন্স পার্কিং নিষিদ্ধ থাকলেও পুলিশ-চালক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে প্রতিদিনই অসংখ্য এ্যাম্বুলেন্স হাসপাতাল চত্বরে পার্কিং করা হয়। বুধবার রাতে হাসপাতাল চত্বরে অর্ধশতাধিক এ্যাম্বুলেন্স পার্কিং করা ছিলো।

রাত সোয়া নয়টার দিকে হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুস ছবুর মিঞা হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই পলাশকে হাসপাতাল এলাকায় অবৈধভাবে থাকা এ্যাম্বুলেন্স সরানোর নির্দেশ দেন। নিয়ে দু’জনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে এ্যাম্বুলেন্স চালকরাও পুলিশের সাথে যোগ দিয়ে পরিচালকের সাথে দুর্ব্যবহার করেন।

এ ঘটনার পর কতোয়ালি থানায় পরিচালক আব্দুস সবুর মিঞার বিরুদ্ধে ডায়রি করেন এসআই পলাশ। ডায়রিতে তিনি অভিযোগ করেন, কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হাসপাতালের পরিচালক তাঁর কলার চেপে ধরেছেন।

তবে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুস ছবুর মিঞা কলার চেপে ধরার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অবৈধভাবে পার্কি করা এ্যাম্বুলেন্স সরানোর কথা বললে পুলিশ আর চালকরাই আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল