কবির রচনায় মানুষ মহাকাব্যের অমরতার স্বাদ আস্বাদন করে – আল মাহমুদ

প্রকাশিত: ৫:১৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০১৬

কবির রচনায় মানুষ মহাকাব্যের অমরতার স্বাদ আস্বাদন করে – আল মাহমুদ

13716122_10201770339216444_5017277537442379439_nআল মাহমুদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৮১তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে কবি আল মাহমুদ বলেছেন, কবিতাই ছিল আমার আরাধনার বিষয়। আমি একজন কবি বৈ আর কিছু নই। সারা জীবন আমি বিবেকের তাড়নায় লিখেছি।
তিনি আরো বলেন, সত্য ও স্বপ্ন মিলিয়ে কবিতা তৈরি হয়। কবির রচনায় মানুষ মহাকাব্যের অমরতার স্বাদ আস্বাদন করে। এটুকুই তো লেখকের সার্থকতা। আর এজন্য কবিকে অনেক পরিশ্রমি হতে হয়।
মগবাজারের ওয়ারলেস গেটস্থ বাসভবনে কবিকে ফুল দিয়ে বরণ করেন আল মাহমুদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সময় সম্পাদক সাঈদ চৌধুরী। সাথে ছিলেন খ্যাতিমান লেখক ও ভ্রমণচিত্র নির্মাতা স্থপতি শাকুর মজিদ, আল মাহমুদ ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব সৈয়দ আকবর কবির সোহরাব, নির্বাহী সদস্য আহমদ আলী, একরাম চৌধুরী, ড. সাফায়াত আলী খান সহ কবি পরিবারের সদস্যবেৃন্দ। পরিশেষে কেক কেটে ৮১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। লেখক ও শুভাকাঙ্খিদের অকৃত্রিম ভালোবাসায় সিক্ত হন বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ কবি আল মাহমুদ।

কবিতা চরের পাখি, কুড়ানো হাঁসের ডিম, গন্ধভরা ঘাস / ম্লান মুখ বউটির দড়ি ছেঁড়া হারানো বাছুর / গোপন চিঠির প্যাডে নীল খামে সাজানো অক্ষর / কবিতা তো মক্তবের মেয়ে চুলখোলা আয়েশা আক্তার। –
সোনার দিনার নেই, দেন মোহর চেয়ো না হরিনী / যদি নাও, দিতে পারি কাবিনহীন হাত দুটি / আত্মবিক্রয়ের স্বর্ন কোনকালে সঞ্চয় করিনি / আহত বিক্ষত করে চারদিকে চতুর ভ্রুকুটি; / ছলনা জানিনা বলে আর কোন ব্যবসা শিখিনি।

এমন অসংখ্য কালজয়ী কবিতার স্রষ্টা দেশের প্রধান কবি আল মাহমুদ। বাংলা কবিতাকে গৌরবোজ্জ্বল অবস্থানে নিয়ে এসেছেন তিনি।আমাদের কবিতায় যে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার ঊণ্মেষ ঘটেছে তিনিই তার নায়ক।

প্রখ্যাত সমালোচক অধ্যাপক শিবনারায়ণ রায়ের মতে, সমকালীন যে দুজন বাঙালী কবির দুর্দান্ত মৌলিকতা এবং বহমানতা আমাকে বারবার আকৃষ্ট করেছে তাদের মধ্যে একজন হলেন বাংলাদেশের আল মাহমুদ, অন্যজন পশ্চিমবঙ্গের শক্তি চট্রোপাধ্যায়।

দুই বাংলার অপরাজেয় এই কবির জন্ম ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই। বার্ধক্য তাকে দমিয়ে রাখেনি, ডিকটেশনের মাধ্যমে এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন লেখালেখি। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য আল মাহমুদের কবিতা । দেশ-বিদেশে তাকে নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। বইয়ের সংখ্যা শতাধিক। চল্লিশের বেশী কাব্যগ্রন্থ, বিশের অধিক উপন্যাস এবং দশটির মতো গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তার শিশু সাহিত্য কিংবা কিশোর কবিতা বাংলা সাহিত্যে দুর্লভ। আট খণ্ডের রচনা সমগ্রও পাঠকের হৃদয় ছুঁয়েছে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং আল মাহমুদ যেন এক ও অভিন্ন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল