সিলেট ১৪ই এপ্রিল, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১লা বৈশাখ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৪৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২০
আমছাল চৌধুরী ::
উৎসবের মধ্য দিয়ে বছরের প্রথম দিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যে নতুন বই তুলে দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা বাতিল করা হয়েছে। তবে বিকল্প উপায়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তবে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবার হচ্ছে না বই উৎসব। এতে দীর্ঘ একদশক পরে আনন্দ আর বন্ধুত্বের মিলনমেলার আয়োজনে ভাটা পড়লো। আর করোনাভাইরাসের কারণে এবার সিলেটে চাহিদার বিপরীতে বইও এসেছে কম।
শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে এবার বই ছাপাতে কিছুটা ধীরগতি হয়েছে। আর আমরা অন্যান্য বছর ফেব্রুয়ারিতেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বইয়ের চাহিদা সংগ্রহ করি। এবার করোনার কারণে দীর্ঘদিন থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, সেজন্য চাহিদা সংগ্রহ করতেও একটু সময় লেগেছে। আর আমাদের চাহিদার অনুকূলে প্রতিনিয়ত বই আসছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করছি জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই আমাদের চাহিদা অনুযায়ী সকল বই এসেছে পৌঁছাবে। এছাড়া গতবছরের বইও সংরক্ষণ করা আছে। প্রয়োজনে এগুলোও কাজে লাগানো যাবে। কারণ বইয়ে এবার পরিবর্তন আসেনি। তাছাড়া সীমিত আকারের বই উৎসব কিভাবে হবে সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনাও আসেনি সিলেটে।
তবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলছেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারো চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর নতুন বইয়ের উৎসব উদ্বোধন শেষে মাত্র ১২ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হবে। মঙ্গলবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রত্যেক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন বই পর্যায়ক্রমে বিতরণ করবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এভাবে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বই পর্যায়ক্রমে ১২ দিনে বই বিতরণ করা হবে।
এদিকে, সোমবার শিক্ষা অধিদপ্তরের চিঠিতে নতুন ১ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষকসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে অসুস্থতা ও সন্তানসম্ভবা শিক্ষকদের উপস্থিত থাকতে হবে না। চিঠিতে বিভাগীয় উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ‘অন্যান্য বছরের মতো ১ জানুয়ারি প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণির শতভাগ শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন বই তুলে দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে সংশ্নিষ্টদের ওই দিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।’
এদিকে, সিলেট জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কয়েক মাস আগেই ২০২১ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই পেতে তাদের শিক্ষার্থীদের সংখ্যানুপাতে বইয়ের চাহিদা জানায়। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার চাহিদা অনুযায়ী পাঠ্যবই সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে চাহিদা অনুযায়ী স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে সিলেট জেলা শিক্ষা অফিস।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সিলেট জেলায় এবার মাধ্যমিক স্তরে মোট বইয়ের চাহিদা ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ৬৪৮, দাখিল স্তরে ৯২ হাজার ৯৫৯ আর এবতেদায়ী স্তরে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৭৫৮। সবমিলিয়ে মোট বইয়ের চাহিদা ৫৯ লাখ ৭০ হাজার ৩৬৫ কপি। ইতোমধ্যে বই পৌঁছেছে মাত্র ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৪৬১ কপি।
উপজেলাভিত্তিক বইয়ের চাহিদা ও প্রাপ্তির তথ্য।আর সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার প্রাক-প্রাথমিকে মোট বইয়ের চাহিদা ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৬২৬ কপি। এরমধ্যে বই পৌঁছেছে ২১ লাখ ৭০ হাজার ২৬ কপি। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে এগুলো বিতরণ করার কথা হয়েছে।
উপজেলাভিত্তিক বইয়ের চাহিদা ও প্রাপ্তির তথ্য।এ প্রসঙ্গে সিলেট জেলা শিক্ষা অফিসার আবু সাইদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে নতুন বই চাহিদার তুলনায় কিছুটা সংকট রয়েছে। আমরা সকল প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের পুরাতন বই সংরক্ষণ করতে বলেছি। তবে পর্যায়ক্রমে উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এবার সীমিত আকারে নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন পাঠ্যপুস্তক সংগ্রহ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. বায়েজিদ খান জানান, ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসে ২০২১ শিক্ষা বর্ষের নতুন পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ১ জানুয়ারি অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই গ্রহণ করবেন।
উৎসবের মধ্য দিয়ে বছরের প্রথম দিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যে নতুন বই তুলে দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা বাতিল করা হয়েছে। তবে বিকল্প উপায়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তবে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবার হচ্ছে না বই উৎসব। এতে দীর্ঘ একদশক পরে আনন্দ আর বন্ধুত্বের মিলনমেলার আয়োজনে ভাটা পড়লো। আর করোনাভাইরাসের কারণে এবার সিলেটে চাহিদার বিপরীতে বইও এসেছে কম।
তবে শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে এবার বই ছাপাতে কিছুটা ধীরগতি হয়েছে। আর আমরা অন্যান্য বছর ফেব্রুয়ারিতেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বইয়ের চাহিদা সংগ্রহ করি। এবার করোনার কারণে দীর্ঘদিন থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, সেজন্য চাহিদা সংগ্রহ করতেও একটু সময় লেগেছে। আর আমাদের চাহিদার অনুকূলে প্রতিনিয়ত বই আসছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করছি জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই আমাদের চাহিদা অনুযায়ী সকল বই এসেছে পৌঁছাবে। এছাড়া গতবছরের বইও সংরক্ষণ করা আছে। প্রয়োজনে এগুলোও কাজে লাগানো যাবে। কারণ বইয়ে এবার পরিবর্তন আসেনি। তাছাড়া সীমিত আকারের বই উৎসব কিভাবে হবে সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনাও আসেনি সিলেটে।
তবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলছেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারো চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর নতুন বইয়ের উৎসব উদ্বোধন শেষে মাত্র ১২ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হবে। মঙ্গলবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রত্যেক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন বই পর্যায়ক্রমে বিতরণ করবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এভাবে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বই পর্যায়ক্রমে ১২ দিনে বই বিতরণ করা হবে।
এদিকে, সোমবার শিক্ষা অধিদপ্তরের চিঠিতে নতুন ১ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষকসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে অসুস্থতা ও সন্তানসম্ভবা শিক্ষকদের উপস্থিত থাকতে হবে না। চিঠিতে বিভাগীয় উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ‘অন্যান্য বছরের মতো ১ জানুয়ারি প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণির শতভাগ শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন বই তুলে দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে সংশ্নিষ্টদের ওই দিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।’
এদিকে, সিলেট জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কয়েক মাস আগেই ২০২১ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই পেতে তাদের শিক্ষার্থীদের সংখ্যানুপাতে বইয়ের চাহিদা জানায়। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার চাহিদা অনুযায়ী পাঠ্যবই সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে চাহিদা অনুযায়ী স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে সিলেট জেলা শিক্ষা অফিস।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সিলেট জেলায় এবার মাধ্যমিক স্তরে মোট বইয়ের চাহিদা ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ৬৪৮, দাখিল স্তরে ৯২ হাজার ৯৫৯ আর এবতেদায়ী স্তরে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৭৫৮। সবমিলিয়ে মোট বইয়ের চাহিদা ৫৯ লাখ ৭০ হাজার ৩৬৫ কপি। ইতোমধ্যে বই পৌঁছেছে মাত্র ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৪৬১ কপি।
উপজেলাভিত্তিক বইয়ের চাহিদা ও প্রাপ্তির তথ্য।আর সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার প্রাক-প্রাথমিকে মোট বইয়ের চাহিদা ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৬২৬ কপি। এরমধ্যে বই পৌঁছেছে ২১ লাখ ৭০ হাজার ২৬ কপি। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে এগুলো বিতরণ করার কথা হয়েছে।
উপজেলাভিত্তিক বইয়ের চাহিদা ও প্রাপ্তির তথ্য।এ প্রসঙ্গে সিলেট জেলা শিক্ষা অফিসার আবু সাইদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে নতুন বই চাহিদার তুলনায় কিছুটা সংকট রয়েছে। আমরা সকল প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের পুরাতন বই সংরক্ষণ করতে বলেছি। তবে পর্যায়ক্রমে উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এবার সীমিত আকারে নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন পাঠ্যপুস্তক সংগ্রহ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. বায়েজিদ খান জানান, ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসে ২০২১ শিক্ষা বর্ষের নতুন পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ১ জানুয়ারি অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই গ্রহণ করবেন।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : মোঃ আফছর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও অনামিকা এ/৩৪ পূর্ব শাহী ঈদগাহ, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭২২১৮৮৫৫১, ০১৭৫৫৮৬৬২২২, ০১৭১২৫৪০৪২০, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by best-bd