কানাইঘাটে প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে সরকারী রাস্তা কাটার অভিযোগ

প্রকাশিত: ৩:১৮ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০১৬

কানাইঘাটে প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে সরকারী রাস্তা কাটার অভিযোগ

Kata Sarokসিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের উপর ঝিঙ্গাবাড়ি চরিগ্রামে গত ১৭ মে বুধবার দিবাগত রাতে গ্রামের এক প্রভাবশালী মহল কর্তৃক জোরপূর্বকভাবে সরকারী কাঁচা রাস্তা কেটে মাটি ভরাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, কানাইঘাট উপজেলার বোরহান উদ্দিন সড়কের সংযোগ সরকারী রাস্তা দিয়ে অতীতে ঝিঙ্গাবাড়ি এলাকার প্রায় ১৫টি গ্রামের লোকজন ৭০ থেকে ৭৫ বছর আগ থেকেই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছিল। বর্তমানে বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা হওয়ায় এখনোা ৪/৫টি গ্রামের লোকজন এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল।  ইউনিয়ন পরিষদের পিআই সেকশনের অধীনে এই রাস্তা নির্মাণ করা হয়। রাস্তাটি উত্তর-দক্ষিণে ৭৩৬ ফুট দৈর্ঘ এবং পূর্ব-পশ্চিমে ১০ ফুট দৈর্ঘ ছিল। উক্ত রাস্তাটি রাতের আঁধারে উপর ঝিঙ্গাবাড়ি (চরিগ্রামের) মৃত মুহিবুল হক এর পুত্র আব্দুল মুকিত মাষ্টার ও মৃত আব্দুল সালাম এর পুত্র ফজলুল বাছিত বেলাল ও শরীফ উদ্দিন, মৃত আব্দুল কুদ্দুছের পুত্র মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে দেড় শতাধিক ভাড়া করা লোক নিয়ে মাটি কেটে রাস্তাটি সমান করে ফেলে। ভোরবেলা গ্রামের লোকজন রাস্তাটি মাটি কেটে সমান করতে দেখতে পেয়ে তাদের বাধা দেয় কিন্তু তাতে তারা ক্ষান্ত হয়নি।
ঘটনার খবর পেয়ে কানাইঘাট থানার এএসআই রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান এবং রাস্তা কাটার জায়গা প্রত্যক্ষ করেন এবং এলাকাবাসীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় ওয়ার্ড মেম্বার বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক পিআই সেকশনের অধীনে এই রাস্তার সংস্কার কাজ করার সময় বিগত ২০০৮ সালে বিবাদী পক্ষ (প্রভাবশালী মহল) সিলেটের জেলা প্রশাসক, কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার সহ গ্রামের আরো ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০১১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী রাস্তাটি এলাকাবাসীর পক্ষে রায় হয় এবং ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর আরো একটি রায় এলাকাবাসীর পক্ষে আসে। দুটি রায় গ্রামবাসীর পক্ষে আসার পরেও এই প্রভাবশালী মহল নালিশী রাস্তা নিয়ে আদালতে আপিল করেন এবং আদালত আপিলটি মঞ্জুর করা সত্বেও তারা রায়ের অপেক্ষা না করে রাতের আঁধারে গত ১৭ মে রাস্তা কেটে সমান করে ফেলে।
এ ব্যাপারে ৮নং ঝিঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ছইফ উল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ৭০ বছরের এই পুরানো রাস্তা দিয়ে ১৫টি গ্রামের লোকজন যাতায়াত করতো এবং পিআই সেকশনের অধীনে আমি এই রাস্তার সংস্কার কাজ করেছি। রাস্তাটি নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে। তারপরও এই কুচক্রি মহল কেন রাস্তাটি কেটে সমান করল তা বোধগম্য নয়। তবে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। বিজ্ঞপ্তি

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল