কিবরিয়া হত্যা মামলায় মেয়র গউসের জামিন

প্রকাশিত: ৫:১৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০১৬

কিবরিয়া হত্যা মামলায় মেয়র গউসের জামিন

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামি হবিগঞ্জ পৌরসভার সাময়িক বরখাস্ত মেয়র বিএনপি নেতা জি কে গউসের  জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।

তার পক্ষে করা জামিন আবেদনের ওপর জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট নাসরিন খন্দকার ও মাসুদ রানা। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এ বিষয়ে গউসের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা জানান, জামিন শুনানিতে বলেছি কিবরিয়া হত্যা মামলায় বর্তমান সরকারের আমলে প্রথমে তিনবার অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। ওই তিনবার দেয়া অভিযোগপত্রে গউসের নাম ছিল না। পরে চতুর্থবারের অভিযোগপত্রে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় গ্রেফতার অপর চার আসামি জয়নাল আবেদীন সেলিম, জমির আলী, মো. তাজুল ইসলাম ও মো. সাহেদ আলীর স্বীকারোক্তি নেয়া হয়। ওই স্বীকারোক্তিতে তারা গউসের নাম বলেননি।

শুধু ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি মুফতি হান্নান স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, সিলেটের কাজ স্থানীয়রা করবে। কিন্তু তিনি কারো নাম বলেননি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ মামলায় গউসকে জড়ানো হয়েছে। শারীরিকভাবেও তিনি অনেক অসুস্থ। কারাগারেও তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে জখম করা হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত গউসকে অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর জি কে গউস হবিগঞ্জের জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওই দিন তার আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যেরবাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। গ্রেনেড হামলার এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল