কোন পথে কুচাই আ‌’লীগের রাজনীতি ?

প্রকাশিত: ৩:১৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০১৬

কোন পথে কুচাই  আ‌’লীগের রাজনীতি ?

15e2ec88d8c4f12cd4699b6ff198ec1b-copy২৩ অক্টোবর ২০১৬, রবিবার: শহরতলীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ৪নং কুচাই ইউনিয়ন। শাসক দল আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক অবস্থা কোন কালেই ভালো ছিল না। নামকাওয়াস্তে পদ-পদবী নিয়েই সাংগঠনিক কার্যক্রম চলতো এই এলাকায়। ইদানিং দৃশ্যপট দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। বিশেষ করে গত ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চন দলগতভাবে হওয়ায় আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। সাংঠনিক ভিত্তি মজবুতের পাশাপাশি নেতৃত্ব শক্তিশালী করতেও অনেকে কাজ করছেন নিরলস। ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চনে দলীয় প্রতীক সমর্থন আদায়ে কাউন্সিলে অংশ নেন বর্তমান সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনা মিয়া, হাজী গোলজার আহমদ, সাদেক আহমদ, জাকিরুল আলম জাকির। কাউন্সিলে ভোটারদের ভোটে প্রতিদ্বন্বিতায় ছিলেন, আনা মিয়া, হাজী গোলজার ও জাকিরুল আলম জাকির। তবে সবোর্চ্চ ভোট পেয়ে নৌকা প্রতীক নিশ্চিত করেন জাকিরুল অালম জাকির, সমান সমান ভোট পান আনা মিয়া ও হাজী গোলজার। কোন ভোট পাননি সাদেক আহমদ। ভোট যুদ্ধের পূর্বে কুচাই ইউনিয়নে নৌকার সমর্থন আদায় নিয়ে মুলত মনোনয়ন ইচ্ছুক প্রার্থীরা নানা কায়দায় নিজদের অবস্থান তুলে ধরতে দৌড়ঝাপ দিয়েছেন। সেখান থেকে শুরু হয় তাদের মধ্যে মনমানিল্য ও দুরত্ব। সভাপতি আনা মিয়া স্থানীয় এমপি মাহমুদ উস সামাদ কয়েছ চৌধুরী দূরসম্পর্কীয় আত্নীয় হওয়ায় তিনি মনোনয়ন নিশ্চিত পাবেন, এমন ভাবে মাঠে ময়দানে প্রার্থীতা ঘোষনায় মরিয়া ছিলেন। একইসাথে তিনি হাজী গোলজার ও জাকিরুল আলমের বিরুদ্ধে নানাভাবে বিষেদাগার করেছিলেন। এছাড়াও  তার অনুগত কিছু লোকে লেলিয়ে দিয়েছিলেন তাদের পেছনে। একতো তিনি দলের সভাপতি তারপর এমপির আত্নীয়, সেই সুবাদে তিনি ও তার অনুগত লোকজন ছিলেন বেপরোয়া। তারপরও হাজী গোলজার ও জাকিরুল আলীম জাকির নিজেদের অবস্থান থেকে প্রার্থীতা নিশ্চিতে জোর প্রচেষ্টা চালান। জাকিরুল আলীম জাকির প্রার্থীতা চুড়ান্ত সমর্থ হলেও হাজী গোলজার, আনা মিয়ার সাথে সমান তালে ঠেক্কা দেন। কিন্তু বয়োবৃদ্ধ আনা মিয়ার নেতৃত্ব সুলভ কথাবার্তারা বিপরীতে অপরিপক্ক, লাগামহীন কথাবার্তার রেষ এখনও কুচাই আওয়ামীলীগকে জ্বালিয়ে তুলছে । তার অনুগত কিছু সমর্থক এতোই নোংরাভাবে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীদের মনে আঘাত দিয়েছে যা রাজনীতিক শিষ্টাচারকে কুলষিত করেছে। তারা মনে করছে আনা মিয়া স্থানীয় এমপির লােক, এমপি সাথে আছেন বিধায়, কেউ আমাদের কিছু করতে পারবে না, এমন মনোভাব থেকেই তারা দলের লোকজনেক বিষিয়ে তুলছে। এহেন পরিস্থিত সামাল দিতে সভাপতি আনা মিয়া কার্যত কোন ভূমিকা রাখেননি। বরং তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বি লোকদের,এমপির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে  বলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে প্রচারনা চালিয়েছেন বলে নানা অভিযােগ রয়েছে। তাছাড়া, অনুগত লোকরাও তার সাথে সুর মিলিয়ে আজে বাজে কথা বলছেন। এমনকি দলবদ্ধ হয়ে এমপির কানভারী করছেন প্রতিদ্বন্দ্বি লোকদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ দিয়ে। এতে করে এমপির সার্বজনীন অবস্থানকে সংকুচিত করে দিয়েছেন তিনি। কুচাই আওয়ামীলীগের সাধারন নেতাকর্মীরা মনে করেন, সভাপতি আনা মিয়া নিজের নেতৃত্বশীল যোগ্যতা বিকশিত না করে, বরং দলের লোকদের দুরে ঢেলে দিয়ে কুচাই আওয়ামীলীকে চরমে নিয়ে যাচ্ছেন। তার অজান্তেই এমপি নিজের কার্যক্রম দিয়ে এমপি বিরোধী বলয় সৃষ্ট করে, নিজকে আস্তাকূড়ে নিক্ষেপ করছেন তিনি। যার নেতিবাচক প্রভাবে আগামীতে এমপিকে সামাল দিয়ে হবে। সম্পতি হাজী গোলজার একটি সাধারন ডায়েরী করেন কুচাই যুবলীগ সভাপতি ইকবাল হোসেন মিন্টুর উপর। ঘটনার কোন কারন অনুসন্ধান বা গভীরতা যাচাই না করে, বিষয়টি নিস্পত্তি / আপোষের কোন উদ্যাগ না নিয়ে কুচাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আনা মিয়া ও সাধারন সম্পাদক আক্তার হোসেন  লিখিত প্রতিবাদ দেন এই সাধারন ডায়েরীর বিপরীতে। এমনকি স্বয়্ং এমপি মাহমদু উস সামাদ চৌধুরী কয়েছ কে এ ঘটনায় জড়িত করে থানা পুলিশকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালান বলেও গুঞ্চন রয়েছে। কেন এমন করছেন বিষয়টি তারা ভালো বুঝেন। তবে, সভাপতি ও সেক্রেটারী প্রদত্ত প্রতিবাদ লিপিতে নিজদের অযোগ্যতা স্পষ্ট ছাপ রেখেছেন, তারা বলছেন হাজী গোলজার মিথ্যা মামলা করছে, প্রকৃত পক্ষে এটি একটি সাধারন ডায়েরী। যে নেত্বত্ব সাধারন ডায়েরী ও মামলার  প্রার্থক্য বুঝতে ব্যর্থ, তারা দলের জন্য, কর্মীদের জন্য বা এমপির সার্বজনীন অবস্থানকে অক্ষুন্ন রাখতে কতটুকু সমর্থ  তা অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ। তারা বিভিন্ন অনলাইনে বক্তব্যে ইকবাল হোসেন মিন্টুকে সত ও  আদর্শবান বলে উল্লেখ করছেন। তারা তাদের বিবেক ও দায়িত্বশীল মানসিকতার নূন্যতম পরিচয় দিলে চোখ বন্ধ করে এভাবে কথা বলতে অবশ্যই পারতেন না। তারা  নিজের বিবেককে যদি প্রশ্ন করেন, ইকবাল হোসেন মিন্টুর অকথ্য লাগামহীন বদমেজাজী চরিত্র ও গালিগালাজে  সাধারন নেতাকর্মীসহ দলের স্থানীয় সিনিয়র নেতারা অতীষ্ট নয় কি ? মিন্টু অপরাধী চরিত্রের নাম কি আদর্শবান ? সচেতন মানুষ মাত্রই জানে মিন্টুর অপরাধমুলক কর্মকান্ডের জানা অজানা তথ্য, কিন্তু সভাপতি ও সেক্রেটারী মিন্টুকে রাজনীতিক রং এ রক্ষা করতে গিয়ে নিজেদের রাজনীতিক দেউলিয়াত্বের যে পরিচয় দিয়েছেন, একদিন সকলকে তার মাশুল দিতে হবে, এমন অভিমত স্থানীয় নেতাকর্মীদের।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল