ক্যালের ‘জঙ্গল’ ক্যাম্পে পরিচয়ের পর সিরীয় শরণার্থীকে বিয়ে করছেন এক ব্রিটিশ ত্রাণকর্মী

প্রকাশিত: ১:৪৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৬

ক্যালের ‘জঙ্গল’ ক্যাম্পে পরিচয়ের পর সিরীয় শরণার্থীকে বিয়ে করছেন এক ব্রিটিশ ত্রাণকর্মী

_91381292_ad_220596693-e1474809780314

২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬, সোমবার: ফ্রান্সের ক্যালেতে ‘জঙ্গল’ নামে পরিচিত অবৈধ শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা এক সিরীয় যুবককে বিয়ে করতে যাচ্ছেন এক ব্রিটিশ নারী – যিনি ওই শিবিরে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করতে গিয়ে তার প্রেমে পড়েছিলেন।

গত বছর ৪১ বছর বয়স্ক ব্রিটিশ স্বেচ্ছাসেবী সারা গেটন খাবার বিতরণ করতে উত্তর ফ্রান্সের ইংলিশ চ্যানেল-সংলগ্ন ওই শিবিরে যান।

এই শরণার্থী শিবিরে সাত থেকে ১০ হাজার লোক বাস করেন – যারা সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধ পথে ইউরোপে এসেছেন, এবং এদের সবারই লক্ষ্য কোন ট্রেন, বাস বা ট্রাকে উঠে ব্রিটেনে ঢোকা ।

তার প্রণয়ী সিরীয় যুবকের নাম হামুদ খলিল। তিনি সিরিয়ার আলেপ্পো থেকে পালিয়ে আসা একজন আইনের ছাত্র।

দি সানডে টাইমস পত্রিকাকে তারা বলেন, তাদের মধ্যে প্রথম দৃষ্টি বিনিময়ের বেশ কয়েক দিন পর মি. খলিল সাহস সঞ্চয় করে সারার ফোন নম্বর জানতে চান।

সারা গেটন বলেন, আমাদের হয়তো একটা পানশালাতে বা কোন অফিসে দেখা হতে পারতো। কিন্তু ভাগ্যক্রমে আমাদের দেখা হয় ক্যালের ‘জঙ্গল’-এ।

‘এখানে স্বেচ্ছাসেবীরা গিয়ে শরণার্থীদের সাথে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলছে’ – সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এমন অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। ব্রিটেন, ক্যালে , জঙ্গলক্যালের ‘জঙ্গল’ নামের অভিবাসী ক্যাম্প এক সপ্তাহ পর সারা লন্ডন ফিরে যান, তবে কিছুদিনের মধ্যেই তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে আবার ক্যালেতে আসেন, এবং তখন দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা হয়।

কয়েক সপ্তাহ পর মি. খলিল বিয়ের প্রস্তাব দেন।

সারা গেটন এর মধ্যে আবার ইংল্যান্ড ফিরে যান, এবং তখন মি. খলিল একটি ট্রাকের পেছনে চড়ে অবৈধ পথে ব্রিটেনে প্রবেশ করেন।

যদিও তিনি মিজ গেটনের কাছে অঙ্গীকার করেছিলেন যে তিনি এটা করবেন না।

লডনের প্রভাতী দৈনিক মেট্রো জানাছে, মি. খলিলকে পাঁচ বছরের জন্য ব্রিটেন থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছে, এবং তিনি ও সারা এখন বিয়ের পরিকল্পনা করছেন।

www.bbc.com

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল