১লা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:০০ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০১৬
কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে মৌলভীবাজার পৌর শহরের ব্যাপক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। শহরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন পাড়ার রাস্তা এবং দুই শতাধিক বাসা ও দোকানে পানি উঠেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে ঝোড়ো হাওয়া ও মুষলধারে বৃষ্টিপাতে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। এতে পৌর বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বেশ কয়েকজন বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই পানি নিষ্কাশনের নালা উপচে রাস্তা, দোকানঘর ও বাসাবাড়িতে পানি ওঠে। এতে ব্যবসায়ী, বাসাবাড়ির লোকজন চরম দুর্ভোগ পোহান। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে শহরের এম সাইফুর রহমান সড়কের চৌমোহনা এলাকার ম্যানেজার স্টলে গিয়ে দেখা যায়, এক-দেড় ফুট পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে বেচাকেনা চলছে। একই এলাকার ফ্রেশ ফুডসহ আহমদ ম্যানসনের বিভিন্ন দোকানের লোকজন সেচ দিয়ে ঘরের ভেতরের পানি বাইরে ফেলছেন। আলী আমজদ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় সড়কে প্রায় হাঁটুপানি। সাইফুর রহমান সড়কের হামিদিয়া পয়েন্ট এলাকায় হাঁটুপানি জমে গেছে। এতে ছোট যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কুসুমবাগ এলাকায়ও পানি থইথই করছে। শহরের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা পশ্চিমবাজারের অনেক দোকানে পানি উঠেছে।
গত বুধবার সকালে শহরের পূর্ব গির্জাপাড়ায় সরেজমিনে দেখা যায়, এলাকার প্রধান সড়কের প্রবেশমুখে হাঁটুপানিতে দাঁড়িয়ে মশারি দিয়ে মাছ ধরছেন সাজেদ মিয়া ও তাঁর পরিবারের লোকজন। এ পাড়ার দুই-একটি বাসা ছাড়া সব বাসাতেই পানি উঠেছে। টিবি হাসপাতাল সড়কের কলেজ স্টেডিয়াম এলাকায় প্রায় কোমর সমান পানি ঠেলে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে দেখা গেছে। সৈয়ারপুরের শৈলেন রায় বলেন, ‘সৈয়ারপুর লক্ষ্মীবালা সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাঁটুপানি জমে যায়। আমি মনু নদীর পাড় হয়ে বাসায় গিয়েছি।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শহরের সার্কিট হাউস এলাকা, টিবি হাসপাতাল রোড, কাশীনাথ রোড, সৈয়ারপুর স্কুল রোড, মাঝেরহাটি সড়ক, রিয়াছত উল্লা সড়ক, শান্তিবাগ, সৈয়দ মুজতবা আলী সড়ক (পুরাতন হাসপাতাল রোড), গোবিন্দশ্রী, বড়হাট, শেখেরগাঁও, বেরিরচর, কাজিরগাঁও, আরামবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এসব সড়কের বিভিন্ন স্থানে এক থেকে তিন-চার ফুট পর্যন্ত পানি উঠেছে।
সার্কিট হাউস এলাকার ফেরদৌস আহমদ বলেন, ‘আমার বাসার নিচতলায় পানি ঢুকেছে। আমার ভাড়াটেরা এখন আর থাকতে চাইছে না।’
পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান বলেন, গত মঙ্গলবার এত বৃষ্টি হয়েছে, পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম কোদালীছড়া সে পানি ধারণ করতে পারছে না। পৌর এলাকার নালা এবং কোদালীছড়ার অংশ পরিষ্কার। কিন্তু শহরের বাইরের নাজিরাবাদ ও মোস্তাফপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) এলাকায় ভূমিদস্যুরা ছড়া দখল করায় বিভিন্ন স্থানে ছড়াটি সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। এ কারণে পানি দ্রুত সরতে পারছে না।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
সহ-সম্পাদক : জুমা কবীর মীম
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও অনামিকা এ/৩৪ পূর্ব শাহী ঈদগাহ, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭২২১৮৮৫৫১, ০১৭৫৫৮৬৬২২২, ০১৭১২৫৪০৪২০, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by M-W-D