৪ঠা জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:২৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০১৬
সিলেটের তারাপুর চা-বাগান থেকে রাগীব আলী মেডিকেল কলেজ, হাসপাতালসহ সব অবৈধ স্থাপনা সাত দিনের মধ্যে উচ্ছেদ করতে ফের গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ১৩ আগস্টের মধ্যে স্থাপনা না সরালে পরদিন গ্যাস ও বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় গণবিজ্ঞপ্তি জারির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীন। পরবর্তী সময়ে স্থাপনা সরাতে এবং ১৩ আগস্টের পর গ্যাস ও বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ করার বিষয়টি তারাপুর চা-বাগান এলাকায় মাইকে প্রচার করা হবে।
এর আগে গত ২০ জুলাই প্রথম দফায় গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সব স্থাপনা সরাতে বলা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফার গণবিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয় উল্লেখ করে বলা হয়, এর আগে ৩০ জুলাই অবৈধ স্থাপনা সরাতে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনো সাড়া মেলেনি। এ অবস্থায় দ্বিতীয় দফায় এ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে দখল বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য পুনরায় অনুরোধ করা গেল। অন্যথায় ১৪ আগস্ট বিদ্যুৎ ও গ্যাস-সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে।৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠা তারাপুর বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। ১৯৯০ সালে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে বাগানটির দখল নেন রাগীব আলী। গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের একটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের রায়ে তারাপুর চা-বাগান দখল করে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা ছয় মাসের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। রায় বাস্তবায়ন করতে সিলেটের জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। রায়ে তারাপুর চা-বাগানকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে ১৭টি নির্দেশনা দেওয়া হয়।
গত ১৫ মে চা-বাগানের বিভিন্ন স্থাপনা ছাড়া ৩২৩ একর ভূমি সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে বুঝিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন। রায়ের পরবর্তী নির্দেশনা বাস্তবায়নে সিলেটের জেলা প্রশাসন মেডিকেল কলেজ, হাসপাতালসহ সব অবৈধ স্থাপনা ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সরাতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। এ বিজ্ঞপ্তির পরই মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী লোকজন ‘আমরা সিলেটবাসী’র ব্যানারে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।
দুপুর ১২টায় মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এ টি এম এ জলিলের কক্ষে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে প্রশাসন বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফা গণবিজ্ঞপ্তির বিষয়টি তাঁরা ইতিমধ্যে জেনেছেন। এ নিয়ে মালিক ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
সহ-সম্পাদক : জুমা কবীর মীম
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও অনামিকা এ/৩৪ পূর্ব শাহী ঈদগাহ, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭২২১৮৮৫৫১, ০১৭৫৫৮৬৬২২২, ০১৭১২৫৪০৪২০, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by M-W-D