১১ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:০৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০১৬
গুলশানের অভিজাত রেস্টুরেন্ট হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর সেনা অভিযানে নিহত পাঁচ জঙ্গিকে সমাহিত করা হয়নি নয় দিনেও। কারণ, তাদের পরিবার লাশ নিতে আসেনি এখনও।
দুজনের পরিবার জানিয়েছে, তাদের লাশ নিজেরা দাফন করতে চান। তবে আর্থিক দৈন্যতার কারণে ঢাকা থেকে লাশ নিতে পারছেন না তারা। বাকিদের পরিবার সন্তানদের এহেন কা-ে এতটাই অসন্তুষ্ট যে, লাশও নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
১ জুলাই হলি আর্টিজানে হামলার পরদিন সকালে রেস্টুরেন্টটি জঙ্গিমুক্ত করতে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। অভিযানের আগেই সেখানে ১৭ বিদেশিসহ মোট ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। আর কমান্ডো অভিযান থান্ডারবোল্টে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গি।
অভিযানের পর পর সবার লাশ নিয়ে যাওয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। এরই মধ্যে জঙ্গিদের হাতে নিহতদের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে স্বজনদের কাছে। তবে পাঁচ জঙ্গির লাশ রয়ে গেছে মর্গের ফ্রিজে।
আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আরও কিছু দিন স্বজনদের জন্য অপেক্ষা করবেন তারা।
কিন্তু কেউ আগ্রহী না হলে লাশগুলো অনন্তকাল মর্গে রাখা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে সমাহিত করতে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ওয়াজির উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে আমি তেমন কিছু জানি না। তবে সরকার অবশ্যই একটি সিদ্ধান্ত দেবে।
সিএমএইচের কর্মকর্তারা বলেন, নিহত পাঁচ জঙ্গির পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ লাশ নিতে আসেনি। তবে বগুড়ার খায়রুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বলের পরিবার জানান, ঢাকা থেকে লাশ এলাকায় নিয়ে যাওয়ার মত আর্থিক সঙ্গতি নেই তাদের। এ কারণেই তারা ঢাকায় যোগাযোগ করেননি।
খায়রুল ইসলামের বাবা বলেন, যত কিছুই হোক না কেন, আমার ছেলেই তো। লাশ দেওয়া হলে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতাম। তিনি বলেন, কেন কীভাবে ছেলে জঙ্গি হলো তা আমাদের জানা নেই।
শফিকুল ইসলামের বাবা বদিউজ্জামান বলেন, টাকার অভাবে ঢাকায় যেতে পারছি না। তবে ছেলের লাশ ফিরে পেতে চাই।
গুলশানে কমান্ডো অভিযানে নিহত অন্য তিন জঙ্গি রোহান ইমতিয়াজ, নিবরাস আহমেদ ও মীর সামীহ মোবাশ্বেরের পরিবারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউ কথা বলেননি। রোহানের বাবা ফোন কেটে দিয়েছেন আর অন্য দুইজনের বাবা ফোন বন্ধ করে রেখেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কেউ লাশ নিতে চাইলে তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে। ঘটনাস্থল গুলশানে হওয়ায় গুলশান থানায় যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, লাশ নিতে হলে যেসব প্রক্রিয়া আছে, তা করে দেবে পুলিশই।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
সহ-সম্পাদক : জুমা কবীর মীম
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও অনামিকা এ/৩৪ পূর্ব শাহী ঈদগাহ, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭২২১৮৮৫৫১, ০১৭৫৫৮৬৬২২২, ০১৭১২৫৪০৪২০, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by M-W-D