চা শ্রমিকরা নানা বঞ্চনার শিকার: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২:০৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০১৭

চা শ্রমিকরা নানা বঞ্চনার শিকার: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন-‘দেশে চা শিল্পের চাষ শুরু হয়েছে দেড়শ বছর আগে। তখন থেকেই চা শ্রমিকরা অহবেলিত। তাদের জীবনযাত্রার মান অনেক নিম্নমানের, নানা বঞ্চনার শিকার। এখনও তাদের উন্নয়নে খুব একটা কিছু হয়নি। এই অবস্থায় চা বাগানের মালিকরা শ্রমিকদের উন্নয়নে এগিয়ে আসলে সরকার সব ধরনের সহায়তা দেবে।’

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ চা বোর্ডের আয়োজনে দেশে প্রথমবারের মতো তিনদিনব্যাপী চা প্রদর্শনী (টি এক্সপো) শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার পুষ্পগুচ্ছ হলে (হল-২) এ প্রদর্শনী আজ সকালে উদ্বোধন করা হয় ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এতো পুরোনো একটি শিল্প। অথচ প্রদর্শনী হচ্ছে এই প্রথম। এটা একটা বড় ব্যাপার। চা শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় সবাই এখানে উপস্থিত রয়েছেন। আমি বলবো, আপনাদের শ্রমিকদের জন্য ভালো বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা বিষয়ে আরও সচেতন হবেন। এইখাতে এখনো কম মজুরিতে কাজ করে থাকেন শ্রমিকরা।’

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব হেদায়াত আল মামুন, বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান আরদাশীর কবির, টি টেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শান্তুনু বিশ্বাস প্রমুখ।

হেদায়েত আল মামুন বলেন, চা-শিল্পের আলাদা নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। এ খাতের উন্নয়নে যেখানে মধ্য মেয়াদি নকশা থাকবে।

আরদাশীর কবির বলেন, আমরা চা শিল্পের উন্নতির জন্য সরকারের সহায়তা চাই। এক সময় এই শিল্প ছিল রফতানিমুখী। এখন হয়েছে আমদানি নির্ভর। সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এটি আবারও ঘুরে দাঁড়াবে। এসময় চা শিল্পের জন্য সহজ শর্তে জ্যাংক ঋণ ও নীতি সহায়তা দাবি করেন তিনি।

উল্লেখ্য, চা প্রদর্শনী প্রতিদিন চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। দর্শনার্থীরা ‘টি এক্সপো-২০১৭’ ফেসবুক পেজ (www.facebook.com/bdteaexpo) এ ফ্রি-রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে বিনামূল্যে এই প্রদর্শনী উপভোগ করতে পারবেন। প্রদর্শনীতে ৩০টি প্যাভিলিয়ন এবং ১৬টি স্টল অংশগ্রহণ করছে।

এ আয়োজনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে সিটি গ্রুপ, ডানকান ব্রাদার্স বাংলাদেশ লিমিটেড, ফিনলে টি, এইচআরসি, ইস্পাহানি এবং সিলোন টি। প্রচার মাধ্যম সহযোগী হিসেবে রয়েছে গাজী টিভি, দি ডেইলি স্টার, রেডিও ফুর্তি এবং বাংলা ট্রিবিউন। ব্যবস্থাপনা সহযোগী হিসেবে রয়েছে ক্রিয়েটো।