সিলেট ২৬শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:২৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০১৬
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে যে সকল স্কুলে ও মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না ও জাতীয় পতাকাও উড়ানো হয় না। সেই সকল প্রতিষ্ঠান থাকার দরকার নেই।
শনিবার বিকেলে সিলেটের কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ড আয়োজিত যুদ্ধকালীন অপারেশন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখা, মুক্তিযোদ্ধাদের আংশিক তালিকা ও তথ্যাদি নিয়ে সংকলন “রণাঙ্গন ৭১” এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষ রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করেছে, মুক্তিযোদ্ধারা খেয়ে না খেয়ে জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছে। সেই মুক্তিযোদ্ধারা জীবিত থাকতে যদি জাতীয় সংগীত না গাওয়া হয় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান থাকার কোন দরকার নেই। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় পতাকা না তোলা ও জাতীয় সংগীত না গাওয়া প্রসঙ্গে বলে থাকে, তাদের প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীত গাওয়ার জায়গা নেই, তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন তাদের নিজ নিজ শ্রেণী কক্ষে জাতীয় সংগীত গাইতে হবে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। তারা এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েলের সভাপতিত্বে ও সাইমুম আঞ্জুম ইভানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা পরিষদের প্রশাসক এডভোকেট লুৎফুর রহমান , সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী , বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান, জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন, লে:. কর্নেল নিরঞ্জন ভট্টাচার্য, ছাদ উদ্দিন আহমদ, সোয়েব চৌধুরী ,আতাউর রহমান, ইদ্রিস আলী বীরপ্রতীক, আব্দুল নুর, বাদশা মিয়া, সালাউদ্দিন পারভেজ প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৭০ সালে যারা এমএলএ বা এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন, যারা স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র পরিচালনা করেছেন, সাংবাদিকতা করেছেন, মুজিব নগর সরকারের কর্মকর্তা কর্মচারী, যারা ভারতে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন, স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিমে অংশ গ্রহণ করেছিলেন ও যারা ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষিত হয়েছিলেন সেই সকল বীরাঙ্গনারা মুক্তিযোদ্ধা।
খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে এসময়ে তিনি বলেন, অনেকে এবার স্বেচ্ছায় পাক হানাদার বাহিনীর মেহমান হয়েছিলেন। তারা এই সংজ্ঞার আওতাভুক্ত নন। চিটাগাং থেকে ভারত যাওয়া নিরাপদ ছিল কিন্তু ভারত যাওয়া নিরাপদ মনে করে নাই। নিরাপদ মনে করে ছিলো ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে যাওয়া। তারা বীরাঙ্গনা নয় তারা হলো বারাঙ্গনা।
তিনি আরও বলেন, দেশের যে সকল জায়গায় মুক্তিযুদ্ধের বধ্যভূমি ছিল সেসকল স্থানে খুব দ্রতই ভূমি বরাদ্দ করে একই ডিজাইনে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। প্রত্যেক মহানগরে পৃথক মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সেই ক্ষেত্রে সিলেট মহানগরে স্থান প্রাপ্তি সাপেক্ষে কমপ্লেক্সর কাজ শুরু হবে।
যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। ১৫ আগস্ট পাকিস্তান ও আমেরিকান দূতাবাস সারা রাত্র খোলা ছিল। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী কারা আমরা ইনশাল্লাহ বের করবো। কমিশন গঠন করে যার মাধ্যমে সমস্ত সত্য বেড়িয়ে আসবে। বঙ্গবন্ধুর খুনি কারা ? এখানে খুনি হিসাবে নাম ছিল জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোস্তাকের। আদালত বলেছে মানুষ মারা গেলে মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন রায় হয় না।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : মোঃ আফছর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা (লিফটের-৮), জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭১২৫৪০৪২০, ০১৭১১৯৮৪০৬৫, ০১৭১৮৫৩৮০৪৫ , ০১৭১১-৩২৬০৯১, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by best-bd