জৈন্তাপুরে বিদ্যালয়ের কাজে ছাত্রলীগ নেতার পুকুরচুরি

প্রকাশিত: ১০:৩৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০১৬

জৈন্তাপুরে বিদ্যালয়ের কাজে ছাত্রলীগ নেতার পুকুরচুরি

ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হেমু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাজের নামে পুকুর চুরি হয়েছে। স্কুল মেরামত ও অবকাঠামো উন্নয়নের ঠিকাদারী নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা প্রজেক্টের পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রজেক্টের বাদ বাকি ২লাখ টাকা হাতিয়ে নিতে ইঁদুরদৌড় অব্যাহত রেখেছেন।
জানা গেছে, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হেমু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গার্ড ওয়াল, পুরনো বিল্ডিং ডালাই, টিনসেড ঘরে চালা পরিবর্তন, জানালার গ্রীল,চেয়ার ক্রয়, ফ্লোর ঢালাই সহ বিভিন্ন কাজে ৭লাখ ২৮ হাজার টাকার প্রজেক্ট দেয়া হয়। স্কুল কমিটির পাশপাশি ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সম্পূর্ন অজান্তে প্রজেক্টর কাজ বাগিয়ে নেন জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির উদ্দিন। উপজেলা প্রকৌশলী হাসানকে হাত করে ছাত্রলীগ নেতা ওই প্রজেক্টের টাকা আত্মসাতে মেতে ওঠেন। নামমাত্র ২ থেকে আড়াই লাখ টাকার কাজ করিয়ে ৯০% কাজ হয়েছে মর্মে বিল আদায়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্কুল কর্তৃপক্ষের মতামত ছাড়া বিল প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করলে ছাত্রলীগ নেতা আমির উদ্দিন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আফিয়া বেগমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে কাজ ৯০% কাজ সম্পন্ন মর্মে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে নেন ছাত্রীগ নেতা আমির। প্রত্যয়নপত্র নিয়ে প্রজেক্টের পাঁচলাখ টাকা উঠিয়ে নেন তিনি। কিন্তু প্রক্কলিত কোন কাজই করেন নি তিনি। প্রজেক্টের বাকি দুইলাখ টাকা উত্তোলনেও তিনি এখন দৌড়ঝাপ অব্যাহত রেখেছেন।
এলাকাবাসী জানান, প্রজেক্টের প্রক্কলিত কোন কাজ না করিয়ে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি যেমন স্কুল কমিটি জ্ঞাত নয় তেমনি এলাকার জনপ্রতিনিধিরাও অবগত নন। তারা এটাকে শাসক দলের প্রভাব খাটিয়ে স্কুলের নামে সরকারী টাকা আত্মসাত ও পুকুরচুরি বলে অভিহিত করেছেন।
এ ব্যাপারে হেমু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক মেম্বার আব্দুল হক সাংবাদিকদের জানান, স্কুল মেরামত ও অবকাঠামো উন্নয়নে কোন প্রজেক্ট দেয়া হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই এবং কোন কাজ করা হয়েছে কি না সে সম্পর্কেও আমি অবগত নই।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা প্রকৌশলী হাসান-এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রক্কলিত কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে, তবে এখনো চুড়ান্ত বিল প্রদান করা হয়নি।
প্রকৌশলী হাসান-এর সাথে আলাপের পরপরই ছাত্রলীগ নেতা আমির উদ্দিন এ প্রতিবেদকের সাথে ক্ষুদ্ধ আচরন করে বলেন, আমার সাথে যোগাযোগ না করে প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা ঠিক হয়নি। কাজের দায়িত্ব আমার এবং আপনি আমার সাথেই যোগাযোগ করবেন। পরক্ষনে তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রক্কলিত কাজের ৯০% সমাপ্ত হয়েছে। কাজ হয়েছে কি না তা’ সরকারের নির্ধারিত প্রকৌশলীই দেখবেন এবং বিলপত্রও দেবেন। এখানে অন্য কারো মাথা ব্যথার কোন কারণ নেই।

সূত্র: Sylhet Newsclub

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল