ভারত সফরে বাংলাদেশের শেষ টেস্ট ম্যাচ দিবারাত্রিতে হবে এটি এখন নিশ্চিত। ম্যাচটি বিশেষ করে তুলতে চেষ্টার কমতি নেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এর। এরই মাঝে ইডেনে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দিবারাত্রির টেস্টের আয়োজন শুরু হয়ে গেছে। অন্যান্য দিকের মতো ক্রিকেটীয় দিক নিয়েও চলছে চিন্তাভাবনা। গোলাপি বলের জন্য এরই মাঝে অর্ডার পাঠিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা এসজি’র কাছে ৭২টি গোলাপি বলের অর্ডার দিয়েছে তারা।
কোকাবুরা নাকি এসজি, বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট ম্যাচে কোন বলে খেলা হবে এ নিয়ে শুরু থেকেই ছিল জল্পনা কল্পনা। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নতুন প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী এরই মাঝে জানিয়ে দিয়েছেন, এসজি বলই ব্যবহৃত হবে দিনরাতের টেস্টের জন্য। সৌরভ এবং বোর্ডের ইচ্ছা, যথাসম্ভব নিখুঁতভাবে টেস্ট ম্যাচটি হোক। রাতের ম্যাচের জন্য বল এবং পিচ দু’টোই খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। তাই ঝুঁকি না নিয়ে অধিক সংখ্যক বল এনে রাখছে কর্তৃপক্ষ।
তবে এসজি বল নিয়ে শুরু থেকেই কিছুতা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা। কারণ, এর আগে এসজি গোলাপি বলে দিবারাত্রির ম্যাচ হয়নি। প্রতিযোগিতামূলক কোনো ম্যাচে এই সংস্থার বল ব্যবহার না হওয়ায় আসলেই কেমন আচরণ করবে এ বল তা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকে যাচ্ছে। বলের আচরণ সম্পর্কে কোন ধারনা থাকবে না ভারত বা বাংলাদেশ কোনো দলেরই।
বলের অর্ডার পাওয়ার ব্যাপার নিশ্চিত করেছেন এসজি সংস্থার এক কর্মকর্তা। নিজেদের বলের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী এই কর্মকর্তা বলেছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ছয় ডজন গোলাপি বল অর্ডার দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে আমাদের বলই ব্যবহার করা হয়েছিল। যদিও সেগুলো ছিল লাল বল। তবে বলের গুণগত মানে যে অনেক উন্নতি হয়েছে, সেটা সকলেই দেখেছে।
লাল বলের চেয়ে গোলাপি বলে ধুলো বেশি লাগার সম্ভাবনা থাকায় দ্রুত তা নোংরা হয়ে যেতে পারে। তখন বলের রং কালচে হয়ে গিয়ে দেখতে অসুবিধা হতে পারে। সেই সমস্যাকেও মেটানোর চেষ্টা করছেন সংস্থার কর্তারা। আগামী ২২ নভেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেনে শুরু হবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দিবারাত্রির টেস্ট।
আলোচিত এ ম্যাচটি দু’দলের ইতিহাসেই গোলাপি বলে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
স্পোর্টস ডেস্ক