ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামী ধরা ছোঁয়ার বাহিরে: জনমনে উৎকন্ঠা

প্রকাশিত: ৯:২০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০১৭

ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামী ধরা ছোঁয়ার বাহিরে: জনমনে উৎকন্ঠা

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: জগন্নাথপুরে ডাকাতিসহ অসংখ্য মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। অপরাধিরা বেপরোয়া অবস্থায় চলাফেরা করে গেলেও তাদের গ্রেফতার না করায় এলাকার লোকজনের মাঝে চরম ক্ষোভ ও আতংক দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় কলকলিয়া ইউনিয়নের খাশিলা গ্রামের শিপন মিয়া ও কয়েল মিয়ার নেতৃত্বে তাদের সহযোগি সত্তার মিয়া, কালা আঙ্গুর, পছন আলী ও জুনাব আলী চুরি ডাকাতি সহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে চালয়ে যাচ্ছে।
গত বছরের ১৪ আগস্ট এই সব অপরাধিরা সাহারপাড়ায় একটি বাড়ীতে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করে ডাকাত কালা মিয়া ও তার কয়েকজন সহযোগিদের জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কালা মিয়া ডাকাতের সহযোগিরা জামিনে বের করে নিয়ে আসেন শিপন ও কয়েল মিয়া। আর কালা মিয়া ডাকাতকে জামিনে বের করতে চলছে অপচেষ্ঠা। জামিনে বের হয়ে তারা পূর্বের কাজে ফিরে আসেন ডাকাত বাহিনীর সদস্যরা। বেড়ে যায় এলাকায় অপরাধ প্রবনতা ও চুরি ডাকাত।
স্থানীয় লোকজন বলেছেন এসকল ডাকাতদের কে পুলিশ গ্রেফতার করলেও কিছুদিন পর জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো তারা অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। কালা মিয়া ডাকাত বাহিনীর মদদ দাতা শিপন ও কয়েল মিয়া স্থানীয় ডাকাতদের জামিনে মুক্তি করে নিয়ে আসেন। ডাকাতরা জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর কারাগারে বন্দী অন্যান্য ডাকাতি মামলার আসামীদের ছাড়িয়ে আনতে শুরু করে নানা অপতৎপরতা। প্রকাশ্যে নানা অপকর্ম চালিয়ে যেতে থাকে। তাদের ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতা ভোগছেন বলেও জানায় বিশ্বস্থ সূত্র।
স্থানীয় বাসিন্দা জানান কালা মিয়া ডাকাত বাহিনী অন্যান্য সদস্যরা ও তাদের মদদ দাতা শিপন ও কয়েল মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এলাকায় ডাকাতি ও চুরি নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হবে না। এই ২ মদদ দাতা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে চলা ফেরা করেন এলাকায়। বিগত দিন তাদের বিরুদ্ধে যে সকল আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল সেই সকল অবৈধ অস্ত্র এখন উদ্ধার হয়নি। আনা নানাবিধ অপরাধ কর্মকান্ডর জন্য উপরোক্ত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে। এসব মামলার মধ্যে অন্যতম চারটি মামলা নাম্বার হচ্ছে জিআর-১৯৮/১৫, জিআর-২০৪/১৫, জিআর-২০৩/১৫, এবং জি আর ৭৪/১৬। এসব মামলা গুলো এখন আদালতে বিচারাধিন রয়েছে। এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে কালা মিয়া ডাকাতের সহযোগি এবং মদদ দাতা শিপন ও কয়েল মিয়াকে গ্রেফতার করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানান।
এব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুরছালিন সাংবাদিকদের জানান কিছুদিন পূর্বে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের যথারীতি অভিযান চলছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল