বাংলাদেশে অনির্বাচিত সরকার সাংবিধানিক সকল প্রথা ও প্রতিষ্ঠানকে একে একে ধ্বংস করেছে। মানুষের শেষ ভরসাস্থল বিচারবিভাগকেও তারা সংকীর্ণ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য ব্যবহার করছে। দলীয় বিচারপতি ও সাজানো মামলা দিয়ে সরকার তারেক রহমানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করতে এবং তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায় । বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজানো মামলায়হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদানপূর্বক ১০নম্বরডাউনিংস্ট্রিটেরসামনেব্যাপকবিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন যুক্তরাজ্য বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ।
যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম এ মালিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদের পরিচালনায়বিক্ষোভ সমাবেশে ব্রিটেনের বিভিন্ন জোনের নেতৃবৃন্দসহ , যুক্তরাজ্য যুবদল , স্বেচ্ছাসেবক দল, আইনজীবী ফোরাম , জাসাস ও মহিলা দলের শত শত নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের নির্দিষ্ট বেষ্টনীর মধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করতে থাকে কিন্তু জায়গা সংকুলান না হওয়ায় পরে ডাউনিং স্ট্রিটের সামনের প্রায় পুরোটা অংশই দিতে হয় তাদের। নেতাকর্মীদের মুহুর্মুহু শ্লোগানে ডাউনিং স্ট্রিটের আশেপাশের এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে।তারা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।
বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, জনবিচ্ছিন্ন ও অবৈধ আওয়ামী সরকার তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে দলীয় বিচারপতিদের মাধ্যমে কারাদন্ডের রায় দিয়েছে। তাকে নির্যাতনে জর্জরিত করে রাজনীতি থেকে দূরে রেখে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায় এ সরকার। ষড়যন্ত্র করে সাজানো মামলায় রায় দিয়ে তারেক রহমানের অগ্রযাত্রাকে কেউ রুখতে পারবে না ,ইনশাল্লাহ।
সভাপতির বক্তবে এম এ মালিক বলেন, আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীর মাধমে আজ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। এ সরকার নিজেই নানা দুর্নীতিতে জড়িত এবং তা প্রমানিত । এসব ঢাকতেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার তারেক রহমানের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এ রায় বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়, এটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের-ই অংশ। ষড়যন্ত্র চলছে দেশ, গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে। সময় থাকতেই তিনি সবাইকে এসবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার আহবান জানান।
সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ বলেন বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল কায়েম করে সিরাজ শিকদারসহ ৩০ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেও ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে পারেননি। মামলা, হামলা, গুম-খুন করে তার কন্যাও টিকে থাকতে পারবেন না। ইতিহাসে কোনো ফ্যাসিবাদি সরকারের টিকে থাকার কোনো নজির নেই। আওয়ামী লীগ নিজেরা জঙ্গি তৈরী করে অন্যের উপর দোষ চাপায়। এসবের দাতভাঙ্গা জবাব দেবে বিএনপি।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান,যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুছ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এ সালাম, যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ,কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মুজিবুর রহমান মুজিব, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সভাপতি এম লুৎফর রহমান , আক্তার হোসেন, আনোয়ার হোসেন খোকন, মোঃ গোলাম রাব্বানি ,শেখ শামসুদ্দিন শামিম, প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন, গোলাম রাব্বানী সোহেল, জাবি ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি পারভেজ মল্লিক, উপদেষ্টা সলিসিটর ইকরামুল হক মজুমদার, ডা: আব্দুল আজিজ, যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম- সম্পাদক সহিদুল ইসলাম মামুন,ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান, তাজউদ্দিন, কামাল উদ্দিন। সিনিয়র সদস্য শরিফুজ্জমান চৌধুরী, আলহাজ সাদিক মিয়া, মেসবাউজ্জামান সোহেল, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম,সামছুর রহমান মাহতাব, আজমল হোসাইন চৌধুরী জাবেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম আহমেদ, সুজাতুর রেজা, জাহেদ আলী, খসরুজ্জমান খসরু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাহেদ আলী তালুকদার, জয়নাল আবেদীন, কোষাধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক নছরুল্লাহ খান জুনায়েদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এস এম সায়েম, দফতরসম্পাদক নাজমুল ইসলাম জাহিদ, যুব বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হামিদ খান হ্যাভেন, ক্রীড়া সম্পাদক মাসুম আহমেদ, তাজবির চৌধুরী শিমুল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা জাহানারা আখতার শিমালা, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আবু নাসের, আসাদুজ্জামান আকতার, প্রকাশনা সম্পাদক আখতার মাহমুদ, সহ-দফতর সম্পাদক সেলিম আহমেদ,সহ- আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট লিয়াকত আলী, সহ- তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হোসেন গাজী, সহ ক্রীড়া সম্পাদক সরফরাজ আহমদে সরফু, সদস্য তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল,গুলজার আহমেদ, আহমেদ চৌধুরী মনি, সোহেল আহমেদ, ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন, শাহেদ আহমেদ চৌধুরী, আব্দুল বাসিত বাদশা, বাবুল আহমেদ চৌধুরী, কামাল চৌধুরী, হেলাল উদ্দিন ,আরিফ মাহফুজ, শিশু মিয়া, হাবিবুর রহমান, এ কে রেজাউল করিম, আমনুর রহমান আকরাম, সেচ্চাসেবক দলের সাকে আহ্বায়ক এমদাদ হোসেন টিপু, যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক দেওয়ান মকাদ্দেম চৌধুরীদ নিয়াজ, যুক্তরাজ্য যুবদলেরসভাপতি রহিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সোয়াললেহিন করিম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ লায়েক মোস্তফা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহীন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সভাপতি ব্যারিস্টার আবুল মন্সুর মোঃ শাহাজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আবুল হাসনাত, জাসাস সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, মহিলা দল আহ্বায়ক ফেরদৌস রহমান, সদস্য সচিব অঞ্জনা আলমেদ, ছাত্রদল নেতা গরিব হোসেন কান্না , ছাত্রদল নেতা শিবলি শহিদ খসনবিশ প্রমুখ।