দক্ষিণ সুরমার মিঠুর বিরুদ্ধে ভুক্তভোগির অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:১৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭

দক্ষিণ সুরমার মিঠুর বিরুদ্ধে ভুক্তভোগির অভিযোগ

সিলেটের দক্ষিন সুরমা উপজেলার কুচাই গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন মিঠু আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে মামলা থাকলেও স্থানীয় এমপির নাম ভাঙিয়ে মিঠু চালাচ্ছে একের পর অপ-তৎপরতা। এলাকার সাধারণ মানুষকে হয়রানীসহ মিঠুর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ থাকলেও রহস্যজনক কারণে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেনা প্রশাসন। যুবলীগের নেতা পরিচয়ধারী মিঠুর বিরুদ্ধে মোগলাবাজার থানায় এক পরিবহন ব্যবসায়ী নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরী করতে বাধ্য হন। সাধারণ ডায়েরী নং-৭১১,তারিখ-১৮/১০/২০১৬ইং। ভুক্তভোগি হাজী গুলজার আহমদকে হত্যার হুমকিসহ তার জানমালের ক্ষতিসাধণ করবে বলে মিঠু হুমকি দেয়। মিঠু থানা পুলিশের সাথে আতাঁত করে এলাকার নিরীহ মানুষকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে আবার টাকার বিনিময় ছাড়িয়ে আনে। এরকম অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে । সর্বশেষ ১৪ জানুয়ারী শনিবার হাজী গুলজার আহমদ মিঠুর বিরুদ্ধে পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছেন। অভিযোগে মিঠুর অতিত ও বর্তমান অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়। অভিযোগে উল্লেখ  করা হয়, মিঠুকে ১৯৯৬ ইং সালে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ আটক করে। পরবর্তীতে যৌথ বাহিনীর আমলে মিঠু আবারো আটক হয়। ২০০৯ ইং সালে কোম্পানীগঞ্জের এক ব্যক্তির টাকা ছিনতাই মামলার আসামী ইকবাল হোসেন মিঠু ঐ সময়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মামলা থেকে খালাস পায়। ইকবাল হোসেন মিঠুর ধারাবাহিক এসব অপরাধের সর্বশেষ নির্যাতন ও ছিনতাইর শিকার দরখাস্তকারী হাজী গুলজার আহমদ। বিগত ১৬/১১/২০১৬ ইং রাত অনুমান ১১ টা ৪৫ মিনিটে মোগলাবাজার থানাধীন কুচাই ইটভাটার সামনে সিলেট জকিগঞ্জ রাস্তার উপরে ইকবাল হোসেন মিঠু ও তার সহযোগিরা মোটর সাইকেল যোগে হাজী গুলজার আহমদের  প্রাইভেট কারের গতিরোধ করে তাকে  টেনে হিচড়ে গাড়ি থেকে রাস্তায় নামিয়ে প্রথমে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বিবাদী ইকবাল হোসেন মিঠু ও তার সহযোগিরা তাকে এলোপাতাড়ী কিলঘুষি মারতে থাকে। এ সময় বিবাদীরা হাজী গুলজার আহমদ এর  সাথে থাকা তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্টান  কদমতলীস্থ শাহজালাল এলুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ এর ২,২০,০০০/(দুই লক্ষ বিশ হাজার ) টাকা  জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনার পর হাজী গুলজার আহমদ মোগলাবাজার থানায় একটি  লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। অভিযোগ প্রদানের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে থানা পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করছেন না। যার ফলে বিবাদী মিঠু আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সে স্থানীয় এমপির নাম ভাঙিয়ে চালাচ্ছে অপকর্ম।  সুত্র:  saudi bangla & sylhet report.

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল