দায়িত্ব পালনে সীমাবদ্ধতা রয়েছে পুলিশের : আইজিপি

প্রকাশিত: ৭:২৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০১৬

দায়িত্ব পালনে সীমাবদ্ধতা রয়েছে পুলিশের : আইজিপি

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে পুলিশের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবুও পুলিশকে সমর্থন দিতে হবে। আস্থা ও সমঝোতা এবং শ্রদ্ধার একটি পরিবেশ জনগণ ও পুলিশের মধ্যে থাকা দরকার। তাহলে জনগণ ও পুলিশ একসঙ্গে কাজ করতে পারবে।
শনিবার দুপুর ভোলা সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জেলা কমিউনিটি ফোরামের আয়োজনে কমিউনিটি পুলিশিং ও জঙ্গি-সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ২০১৩, ’১৪ ও ’১৫ সালে দেশে রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে সন্ত্রাস করা হয়েছে। ২০১৩ সালে ১৮ জন পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশকে টার্গেট করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটনা হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। এজন্য জেলা কমিউনিটি পুলিশকে সবার সহযোগিতা করতে হবে।
আইজিপি বলেন, পুলিশকে সবার সহযোগিতা করতে হবে। দেশের মানুষের জন্য, মানুষের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সব ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে পারে। পুলিশ কোনো দলের কিংবা ব্যক্তির নয়, পুলিশ রাষ্ট্রের। পুলিশ দেশ ও জনগণের জন্য। তাই পুলিশকে প্রতিপক্ষ ভেবে কোনো লাভ নেই। পুলিশ সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলবে।
আইজিপি আরও বলেন, সমাজের ভালো লোকজন নিয়ে কমিউনিটি পুলিশ গঠন করতে হবে। কোনো দালালের স্থান দেয়া হবে না। মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনসচেনতা সৃষ্টি করতে হবে।
জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি শেখ মো. মারুফ হাসান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মমতাজ বেগম, ভোলার জেলা প্রশাসক মো. সেলিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন, জেলা পরিষদ প্রশাসক আবদুল মমিন টুলু, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুস, কাচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম নকিব, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ দুলাল ঘোষ প্রমুখ।
এর আগে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সমাবেশস্থলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে জেলা ও উপজেলা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, কমিউনিটি পুলিশের সদস্য এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে।

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল