সিলেট ১লা মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:০০ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০১৬
উজ্জ্বল মেহেদী: বাড়ির পাশে একটি মরা গাছ। কেটে ফেলার পর গাছের ফোকরের বাসায় দেখা গেল নজরকাড়া রঙের দুটি পাখির ছানা। কী প্রজাতির পাখি—এ নিয়ে কৌতূহল দেখা দিলে খবর পেয়ে একজন পরিবেশকর্মী ছানা দুটি উদ্ধার করেন। পরে পাখিবিশেষজ্ঞ ছানা দুটিকে বসন্তবাউরির বলে শনাক্ত করেন।
ফলাহারী প্রজাতির মধ্যে বসন্তবাউরি বাংলাদেশে দুর্লভ একটি পাখি। সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বাড়ইকান্দি গ্রাম থেকে ১ জুলাই বিকেলে ছানা দুটিকে উদ্ধার করে পরদিন পরিচর্যার জন্য পরিবেশ সংগঠন ভূমিসন্তান বাংলাদেশ-এর কাছে দেওয়া হয়।
দুর্লভ বসন্তবাউরির ছানা দুটি উদ্ধার করেন ‘সারী নদী বাঁচাও আন্দোলন’ সংগঠনের সভাপতি আবদুল হাই আল-হাদী। তিনি বলেন, তাঁর আত্মীয় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মায়মুনা রওনকের গ্রামের বাড়ির একটি মরা গাছ কাটা হচ্ছিল। এ গাছের ফোকরে বাঁধা বাসায় ছানা দুটি পাওয়া যায়। পাখির জাত না চেনায় এ নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে কৌতূহল দেখা দেয়।
খবর পেয়ে আবদুল হাই ছানা দুটি উদ্ধার করে সিলেটের প্রাণী ও পরিবেশ সংরক্ষণ সংগঠন ভূমিসন্তান বাংলাদেশ-এর সদস্যদের কাছে দেন। আবদুল হাই প্রথম আলোকে বলেন, গ্রামের প্রবীণ বয়সী লোকজন ছানা দুটি দেখে ‘বিদুরুক’ বলে জানান। গ্রামে বসন্তবাউরিকে এ নামে ডাকা হয়।
পাখির ছানা দুটির ছবি দেখে বসন্তবাউরি (ইংরেজি নাম Blue throated burbet) বলে শনাক্ত করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট পাখিবিশেষজ্ঞ শরীফ খান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ছোট ও বড় মিলিয়ে বসন্তবাউরির ছয়টি প্রজাতি রয়েছে। সব প্রজাতি বাংলাদেশে এখন দুর্লভ। দুরন্ত স্বভাবের এ পাখি নরম ফলাহারী। ঘন বনাঞ্চলে এরা বসবাস করে। বাংলাদেশের মধ্যে সিলেট, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বন এলাকায় বসন্তবাউরির দেখা মেলে।
মাস দেড়েক বয়সী দুটি ছানা বসন্তবাউরির কোন প্রজাতির—পরিণত না হলে তা শনাক্ত করা সম্ভব নয় বলে জানান শরীফ খান। এদের এখনই অবমুক্ত করলে না-ও বাঁচতে পারে। এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাণী চিকিৎসকের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে পরিচর্যা করলে ছানা দুটি পরিণত হবে। উড়তে না পারা পর্যন্ত এভাবে রাখা দরকার।
ভূমিসন্তান বাংলাদেশ-এর সমন্বয়ক মোহাম্মদ আশরাফুল কবীর বলেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি ক্লিনিকের সহায়তা নিতে ইতিমধ্যে সেখানকার প্রাণী অধিকারবিষয়ক সংগঠন ‘প্রাধিকার’কে জানানো হয়েছে। প্রাধিকারকর্মীদের নজরদারির মধ্যে ছানা দুটি প্রতিপালন করা হবে বলে তিনি জানান।
প্রাধিকারের সাধারণ সম্পাদক মনজুর কাদের চৌধুরী বলেন, সিলেটের গ্রামাঞ্চলে এ পাখি বিদুরুক ছাড়াও ধনিয়া নামে পরিচিত। টিলাবেষ্টিত বন-জঙ্গলে এ পাখির বিচরণ ছিল। বন উজাড় হওয়ায় প্রায় এক দশক ধরে বসন্তবাউরির কোনো প্রজাতির পাখি আগের মতো দেখা যায় না।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : মোঃ আফছর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা (লিফটের-৮), জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭১২৫৪০৪২০, ০১৭১১৯৮৪০৬৫, ০১৭১৮৫৩৮০৪৫ , ০১৭১১-৩২৬০৯১, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by best-bd