সিলেট ৭ই মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:২২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
সুয়েবুর রহমান
নগরের যে দিকে যাই বা থাকাই সে দিকে দেখতে পাই বিজ্ঞাপন আর বিজ্ঞাপন। আর কিছু বিজ্ঞাপন দেখে নিজেই হতবাক! লোহার পেরেকে আক্রান্ত নির্বাক বৃক্ষ, ঝুলানো বিজ্ঞাপনী সাইনবোর্ড। নিজ চোঁখে দেখলে মনে হয় যেন বিজ্ঞাপনের পেরেক গেঁথে নির্বিকারে চলছে বৃক্ষ নিধন কার্যক্রম। শুধু বৃক্ষে-ই বিজ্ঞাপনী প্রচারণা কার্যক্রম শেষ নয়। বৈদ্যুতিক পিলারে ঝুলানো রয়েছে বিজ্ঞাপনী সাইনবোর্ড কিংবা ব্যানার। কিন্ডারগার্ডেন স্কুল-কলেজ থেকে শুরুকরে, অমুক-তমুক নামের কোচিং সেন্টারসহ ভিবিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপনী সাইনবোর্ড রয়েছে বৃক্ষ কিংবা বৈদ্যুতিক পিলারে ঝুলানো। এমনকি, বিজ্ঞাপনী প্রচারণা থেকে বাদ পড়ছেন না ডাক্তার সহ সচেতনরা ও।
সাম্প্রতিক সময়ে যেমন বাড়ছে ব্যবসা প্রতিষ্টান তেমনি বাড়ছে বিজ্ঞাপনী প্রচারণা। আর এসব বিজ্ঞাপনী প্রচারণা নগরির বৈদ্যুতিক পিলার, ও গাছ উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। যা আইনি নীতিমালায় সম্পুন্যরূপে অবৈধ। অথচ অবৈধভাবে বিজ্ঞাপনী ব্যানার কিংবা সাইনবোর্ড নিয়ে নেই কারো মাথা ব্যথাঁ।অনেকেই বলছেন, কাগজবন্দী রয়েছে আইনি নীতিমালা! তাই এসব বিজ্ঞাপনের প্রতি নেই কোন প্রতিকার।
সরজমিনে শহরের বেশকিছু এলাকা ঘুঁড়ে দেখা যায়, রাস্তার দু-পাঁশে গাছে এবং বিদ্যুৎপিলারে তুলনায় বিজ্ঞাপনী সাইনবোর্ডের সংখ্যা বেশি। দেখলে মনে হয়, রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছেন বিজ্ঞাপনদাতারা। আর ওই বিজ্ঞাপনী সাইনবোর্ড, লোহার পেরেক, তার কিংবা রশি দিয়ে ঝোলানো রয়েছে। আবার দেখা যায় অনেক সাইনবোর্ড মাটিতে পড়ে গেছে তবোঁও পেরেক আটকানো রয়ছে বৃক্ষে। যা বৃক্ষ নিধনের জন্য উপযোগী। এই গাছের বাঁঁকশক্তি ব্যতীত অনুুুভূতিশক্তি এবং প্রাণ রয়েছে তা প্রমাণিত। প্রনীকুলে বেচে থাকার জন্য প্রধান উপাদান হল গাছ। অথচ আমরা বিজ্ঞাপনী পেরেক বৃক্ষে গেঁথে এই উপকারিকাতার প্রতিদান দিচ্ছি। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক বিষয়।
উল্লেখ্য, সিলেট নগরিতে দিন দিন বৈদ্যুতিক পিলার, গাছ এবং দেওয়ালের উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে বিজ্ঞাপনী প্রচারণা। বিজ্ঞাপনী প্রচারণা একদিকে যেমন নগরির সুদৃশ্য ব্যাঘাত ঘঠছে অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।অনেক সময় দেখা যায় সাইনবোর্ডে দু’পাঁশে দুটি লাটি দিয়ে ঝোলানো রয়েছে রাস্তার উপর। যাতায়াতের সময় এসকল অনিরাপদ সাইনবোর্ড যে কোন ব্যক্তির উপর পরে ওই ব্যক্তি আহত হওয়ার সম্ভবনা থাকে। এসকল কারণেই, এসব অবৈধ বিজ্ঞাপনী সাইনবোর্ড অপসারণের পাঁশাপাশি বিজ্ঞাপনদাতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা। এবিষয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : মোঃ আফছর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা (লিফটের-৮), জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭১২৫৪০৪২০, ০১৭১১৯৮৪০৬৫, ০১৭১৮৫৩৮০৪৫ , ০১৭১১-৩২৬০৯১, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by best-bd