নিউ ইয়র্কের ব্রোঙ্কসে বাংলাদেশীদের ওপর হামলা বেড়েছে

প্রকাশিত: ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০১৬

নিউ ইয়র্কের ব্রোঙ্কসে বাংলাদেশীদের ওপর হামলা বেড়েছে

22517_Hate-Crimeনিউ ইয়র্কের ব্রোঙ্কসে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের ওপর এ বছর হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা থেকে এ হামলা হচ্ছে কিনা তা তদন্ত করছে কর্তৃপক্ষ। এ খবর দিয়েছে সিবিএস নিউ ইয়র্ক। সিবিএস ২-এর ম্যাগডালেনা ডোরিস রিপোর্ট করেছেন, ব্রোঙ্কসের পার্কচেস্টার সেকশনে বাংলাদেশীদের টার্গেট করা হয়েছে। সেখানে একই রকম কমপক্ষে ৬টি হামলা তদন্ত করছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট। এর মধ্যে এপ্রিলে বাসার সামনে হামলা হয় মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের ওপর। তিনি বলেছেন, একই ব্লকে বাংলাদেশীদের ওপর আরও তিনটি হামলা হয়েছে। হামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, হামলাকারী কিছুই চায় নি। কোন অর্থ চায় নি। ফোন চায় নি। কিছুই না। সে (হামলাকারী) আমাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে ফেলে দেয়। এতে আমার চোখ ও নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে শুরু করে। সাইফুর রহমান ও হামলার শিকার অন্য মুসলিমরা ১৩ই জুলাই পুলিশ ও মানবাধিকার বিষয়ক নিউ ইয়র্ক সিটি কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ সময় তারা এসব হামলাকে ‘হেট ক্রাইম’ বা জাতিগত ঘৃণা বলে আখ্যায়িত করেন। বাংলাদেশ আমেরিকান কমিউনিটি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মজুমদার। তিনি বলেছেন, গত ৭ মাসে কমপক্ষে ৭টি গুরুতর হামলার খবর পেয়েছেন তারা। পুলিশে রিপোর্ট করলে প্রতিশোধ নেয়া হবে এই ভয়ে অনেকেই বিষয়টি এড়িয়ে যান। উল্লেখ্য, গত দু’দশকে কয়েক হাজার বাংলাদেশী অভিবাসী ব্রোঙ্কসে অবস্থান নিয়ে সেখানে থিতু হয়েছেন। সেখানেই তারা ঘরসংসার পেতেছেন। এ এলাকায় যারা এমন হামলার শিকার হয়েছেন তারা বলেছেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হামলার এই প্রবণতা গত বছর থেকে পাল্টে নতুন এক মাত্রা যুক্ত হয়েছে। মুজিবুর রহমান বলেছেন, হামলাকারীরা তাকে ‘আইসিস’ বলে আখ্যায়িত করেছে। তিনি গত জানুয়ারিতে ভাতিজিকে স্কুল থেকে বাসায় আনতে গিয়েছিলেন। এ সময় তার ওপর হামলা হয়। তিনি বলেন, অকস্মাৎ হামলায় আমার কাছে সবকিছু ঝাপসা হয়ে যায়। আমি পড়ে যাই মাটিতে। নির্যাতিত আরেক বাংলাদেশী হলেন আতাউর রহমান। ফেব্রুয়ারিতে দু’দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালায়। তাকে প্রহার করে। তার সঙ্গে থাকা সব কিছু লুটে নেয়। এ সময় তিনি বেশ কয়েকটি দাঁত হারান। এখনও সে অবস্থায় বেঁচে আছেন। শুধু কি তা-ই। প্রহারে তার কানে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ঠিকমতো কানে শুনতে পান না। বাংলাদেশী সম্প্রদায়কে নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট অনুরোধ করেছে এমন কোন হামলা হলে তারা যেন পুলিশে খবর দেন। কিন্তু প্রতিশোধের ভয়ে অনেকেই বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন।

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল