নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি পাঁচ বছরে এক দিনও ব্যবহৃত হয়নি

প্রকাশিত: ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৪, ২০১৬

নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি পাঁচ বছরে এক দিনও ব্যবহৃত হয়নি

879cf2b4f279d99c5aac75b79d92b207-5সড়কপথে মুমূর্ষু রোগীদের উন্নত চিকিৎসায় অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য দীর্ঘদিন ধরে একটি অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় পাঁচ বছর আগে একটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু চালক না থাকায় এটি এক দিনের জন্যও কোনো কাজে আসেনি। দুই বছর ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অদূরে শয়তানখালী খালের পশ্চিমপাড়ে পড়ে থেকে রোদে-বৃষ্টিতে এটি নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে ২০১১ সালের ১৬ আগস্ট ৩১ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালে একটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দেওয়া হয়। এখানে এটি নিয়ে আসার পর প্রথমে ধরমপাশা থানাসংলগ্ন কংস নদে রাখা হয়। পড়ে কংসের পানি কমে যাওয়ায় এটিকে শয়তানখালী খালে এনে রাখা হয়। নৌ অ্যাম্বুলেন্সটির ইঞ্জিন চুরি হয়ে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় ইঞ্জিনটি খুলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিন উপজেলার শয়তানখালী খালের পশ্চিম পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, কাঠের তৈরি অ্যাম্বুলেন্সটির ছাদের অংশ প্লেনশিট দিয়ে ঢাকা। অ্যাম্বুলেন্সটির বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। সেই সঙ্গে এটির বিভিন্ন স্থানের কাঠে পোকা ধরায় কাঠ নরম হয়ে গেছে।
পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমান বলেন, চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। সড়কপথে চলাচলের জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার বিষয়টি উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। সরকারি লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে বরাদ্দ পাওয়া নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি রোদে-বৃষ্টিতে পড়ে থাকতে থাকতে এখন নষ্ট হতে চলেছে। দ্রুত সড়কপথে চলাচলের জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালিব খান বলেন, ‘এখানকার মুমূর্ষু রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করতে গিয়ে পাশের মোহনগঞ্জ, বারহাট্টা ও নেত্রকোনা থেকে অ্যাম্বুলেন্স আনতে হয়। এ জন্য এখানকার মানুষদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তা ছাড়া সময়মতো সেটি না পাওয়া গেলে অনেক সময় ঘটে যায় দুর্ঘটনা। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খুব শিগগির আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মহসিন করিম বলেন, চালক না থাকায় নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি চালু করা সম্ভব হয়নি। তা ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার না করায় এটি এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভৌগোলিক অবস্থার কারণে এই উপজেলাবাসী ময়মনসিংহে গিয়ে জরুরি চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকেন। তাই সড়কপথে চলাচলের জন্য এখানে একটি অ্যাম্বুলেন্স বেশ প্রয়োজন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল