৪ঠা জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৫১ পূর্বাহ্ণ, মে ৭, ২০১৬
হবিগঞ্জে আবারও পঞ্চায়েতের বিরোধের শিকার হলো হত্যা মামলার আসামী এক কিশোর। দুই পঞ্চায়েতের আধিপত্যের কারণে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার উচাইল চারিনাও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত কিশোর ওই গ্রামের তাউছ মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (১৩)। এই ঘটনায় রিংকু মিয়া নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার উচাইল চারিনাও গ্রামের বাসিন্দা উচাইল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জহুর আলী এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর চৌধুরী শাহীনের পঞ্চায়েতের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
এ নিয়ে তাদের মাঝে একাধিকবার হামলা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গ্রামের পার্শ্ববর্তী নদী থেকে মাটি উত্তোলন নিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি উভয়পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এতে এক পঞ্চায়েতের প্রধান জহুর আলী নিহত হন। এ ব্যাপারে নিহত জহুর আলীর ছেলে ইউপি মেম্বার আব্দুল আওয়াল বাদী হয়ে ৯৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর গ্রেফতার আতংকে শাহীনের পক্ষের ৬১টি পরিবার ভিটেবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এ সুযোগে আসামীদের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। উক্ত মামলায় আসামী করা হয় তাউছ মিয়ার ১৩ বছর বয়সী ছেলে লিটন মিয়াকেও। সম্প্রতি লিটনসহ মামলার বেশ কয়েকজন আসামী আদালত থেকে জামিন নেয়। এরই মাঝে বাদীপক্ষের বাড়িতে আগুন দেয়ার অভিযোগে ২১ এপ্রিল সদর থানায় তাদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে চলতি মৌসুমে জমির ধান কাটতে বাড়িতে যায় আসামীপক্ষের লোকজন।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মামলার বাদী আব্দুল আওয়াল ও তার ভাই জামিল মিয়া পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। বিকেলে সদর থানার এসআই সুমন হাজরার নেতৃত্বে পুলিশ আসামীদের বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশের সাথে যায় নিহত জহুর আলীর ছেলে জামিল মিয়াসহ বাদীপক্ষের লোকজন। একপর্যায়ে পুলিশকে বাড়ির উঠানে রেখে তারা তাউছ মিয়ার ঘরে ঢুকে তার ছেলে লিটন মিয়াকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে সে গুরুতর আহত হলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। রাত ১১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
ঘটনার পর রাতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ও শায়েস্তাঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছিনুল হকের নেতৃত্বে পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রিংকু মিয়াকে গ্রেফতার করে। সে ওই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে।
এদিকে নিহতের স্বজনদের দাবি, পুলিশের সামনেই তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এমন অভিযোগ অস্বীকার করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন জানান, ঘটনার আগে ও পরে পুলিশ সেখানে থাকলেও ঘটনার সময় তারা ছিলেননা। পুলিশ যাওয়ার পূর্বেই প্রতিপক্ষের লোকজন লিটনকে পিটিয়ে আহত করে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
সহ-সম্পাদক : জুমা কবীর মীম
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও অনামিকা এ/৩৪ পূর্ব শাহী ঈদগাহ, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭২২১৮৮৫৫১, ০১৭৫৫৮৬৬২২২, ০১৭১২৫৪০৪২০, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by M-W-D