১০ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৪৫ অপরাহ্ণ, মে ২, ২০১৬
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রভাব খাটিয়ে একাই ৩টি ডিভিশনের নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি। নিজের ডিভিশনে অফিস না করে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিভিশন অফিসেই কাটছে তার সময়। পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অফিসের চেয়েও বিলাসবহুল করে ডিভিশন অফিস সাজিয়ে দূর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ কর্মকর্তা-কর্মচারি ও ঠিকারদারদের। এ ব্যাপারে পাউবো’র মহাপরিচালক, দুদকসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রায় ৩ বছর আগে তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমানের আত্মীয় তৌহিদুল ইসলাম উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে জকিগঞ্জ-৩ ডিভিশনে যোগ দেন। এরপরই পাল্টে যায় পাউবো সিলেট অফিসের চিত্র। নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মিলে টেন্ডার বাণিজ্য, ওয়ার্ক ওর্ডার বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ডিজাইন বহির্ভূত কাজ, ‘টোকেন মানি’ না পেলে ঠিকাদারদের বিল আটকে দেওয়াসহ নানা অনিয়ম শুরু করেন। পরে নির্বাহী প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান সিলেট থেকে বদলী হলে তৌহিদুল ইসলাম সেকশন অফিসারদের নিয়েই অনিয়ম চালিয়ে যেতে শুরু করেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সিলেটে প্রায় এক যগ ধরে সেকশন অফিসার হিসেবে কর্মরত আবদুল মতিন ও ৫ বছর যাবত কর্মরত সেকশন অফিসার খোরশেদ আলমকে নিয়ে ঠিকাদারদের হয়রানি করে সরকারি অর্থ আত্মসাত করা হচ্ছে। ঠিকাদারদের বিলের বিপরীতে সেভিংসের টাকা, ডিজাইন অনুযায়ী কাজ না করে পিসির টাকা ভাগাভাগি করা হচ্ছে। এছাড়া উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী সাইটে না গিয়ে তার অফিসে বসেই ঠিকাদারদের সাথে দরকষাকষি, নিন্মমানের মালামাল দিয়ে ঢালাই কাজ করা প্রকল্প বুঝে নেওয়ার মতো অনিয়ম চলে আসছে। টেন্ডার প্যাকেজ নং-০৪/২০১৪-১৫-এ রেগুলেটন নির্মানকাজে ২ মিটার শিট পাইলের পরিবর্তে ১ মিটার ড্রাইভ দিয়ে কাজ, সিলেট শহর রক্ষা বাধের ব্লক রাতের আধারে ট্রাক দিয়ে অন্যত্র সরিয়ে ফেলার ঘটনাও ধামাচাপা দেন উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম।
এছাড়া তৌহিদুল ইসলাম যেদিন থেকে সাব ডিভিশন-১’র দায়িত্ব নেন সেদিন থেকে পাউবোর কলোনী মেইনটেনেন্স, ঢাকা থেকে আসা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এন্টারটেইনমেন্ট খরচসহ নামে বেনামে বিভিন্ন খরচের অতিরিক্ত বিল দেখিয়ে তা তুলে নেন উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম। এছাড়া কলোনী মেরামতের ভূয়া বিল দিয়ে টাকা উত্তোলন চেষ্টা আঞ্চলিক হিসাব কেন্দ্র (র্যাক) আটকে দিলেও ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে তা ছাড়িয়ে নেন। তার বাসার বাজারের হিসাবও কোটেশনে অন্তর্ভূক্ত করে বিল নেওয়ার নজিরও রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
বালুচর জোনাকী-১৭ নং বাসার জামাল আহমদ তার অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, কানাইঘাট উপজেলার মুলাগুল, কানডোলা, নয়াবাজার প্রোটেকটিভ ওয়ার্ক কাজের (নং-০১/২০১৪-১৫) এর বেহালদশা। উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম ও সেকশন অফিসার আবদুল মতিন ঠিকাদারদের ঠিকমতো নির্দেশনা না দেওয়ায় প্রায় শেষ হওয়া কাজটি ধ্বংসের মুখে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
সহ-সম্পাদক : জুমা কবীর মীম
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও অনামিকা এ/৩৪ পূর্ব শাহী ঈদগাহ, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭২২১৮৮৫৫১, ০১৭৫৫৮৬৬২২২, ০১৭১২৫৪০৪২০, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by M-W-D