২৮শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৩০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০১৬
২৬ আগ্রস্ট ২০১৬, শুক্রবার : সিলেটের খুলিয়াপাড়ায় তাজুল ইসলাম খুনের ঘটনায় অংশ নিয়েছিল পেশাদার কিলাররা। বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আড়ালে থাকা গডফাদাররা তাদের কিলিং মিশনে নিয়োগ করে। এমনটি জানতেন নিহত হওয়া তাজুলও। আর ওই কিলারদের দিয়ে এর আগে তাজুলের ছেলে সোহান ইসলামকে খুন করা হয়েছিল। ওই কিলিং গ্রুপের সদস্যদের হাতেই গুরুতর আহত হয়েছিল তাজুল ও বড় ছেলে রায়হান ইসলাম। ওদের কথা এর আগেও একাধিকবার পুলিশকে অবগত করা হয়েছিল। কিন্তু অদৃশ্য ছায়ায় ওরা খুলিয়াপাড়া এলাকায় ছিল অনেকটা প্রকাশ্যেই। তাজুল খুনের পর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যে মামলা করা হয়েছে সেই এজাহারেও কিলারদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পিচ্ছি শাকিল, টোকাই সবুজ, টিপু, দা বিক্রম ও কৃষ্ণ। তাদের সহযোগী হিসেবে ছিল তোফায়েল ও জ্যাকলিন নামের আরো দুইজন। এর মধ্যে পিচ্ছি শাকিল ও টিপু নিহত তাজুলের ছোটো ছেলে সোহান ইসলাম খুনের মামলার আসামি ছিল। সোহান খুনের ঘটনার পর তাদের ভয়ঙ্কর কর্মকাণ্ডের নানা কাহিনী রটেছিল এলাকায়। তারা দুই জনই এলাকায় পেশাদার কিলার হিসেবে পরিচিত। ওরা অনেক আগে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। বর্তমানে তারা লোমহর্ষক অনেক কাহিনীর মূল হোতা। পিচ্ছি শাকিলের পিতা কুয়ারপাড়ের এক বাবুর্চি। কুয়ারপাড় এলাকায়ই জন্ম ও বেড়ে উঠা শাকিলের। আর টিপুর বাড়িও একই এলাকায়। তবে, তারা দুই জন একই সিন্ডিকেটের হয়ে কাজ করছে দীর্ঘ দিন ধরে। এলাকায় মোটরসাইকেল চোরদের মূল হোতা তারা দুইজন। গেলো কয়েক মাসে নগরীর শেখঘাট, খুলিয়াপাড়া, কুয়ারপাড়, লামাবাজার এলাকা থেকে কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ফাঁড়ি পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলেও কোনো লাভ হয়নি। অনেকেই ধারণা থেকে পুলিশকে জানিয়েছিলেন ওদের কথা। কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারে সব সময়ই রহস্যময় ভূমিকা পালন করছে। তাজুলের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, সোহান খুনের ঘটনার পর পিচ্ছি শাকিল ও টিপু এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। তাদের গ্রেপ্তারে ওই সময় পুলিশ অভিযান চালালেও আটক করতে পারেনি। পরে সোহান খুনের ঘটনার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে তারা এলাকায় ফিরে। এবং প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যেই তারা তাজুল ও তার ছেলে রায়হান ইসলামের উপর হামলা চালিয়েছিল। এসব ঘটনায়ও পুলিশের কাছে ওদের বিরুদ্ধে নালিশ দেয়া হয়েছিল। তারা জানিয়েছেন, তাজুলকে যে স্টাইলে খুন করা হয়েছিল সে স্টাইলেই হামলা চালানো হয়েছিল রায়হানের উপর। গত বছরের ২০ শে ডিসেম্বর একই স্থানে রায়হানের চোখে চুন ছিটিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। আর এ ঘটনায় পিচ্ছি শাকিল, টিপুসহ কয়েকজন অংশ নেয়। এবার তাজুল খুনের ঘটনায় টোকাই সবুজ, দা বিক্রম ও কৃষ্ণকে আসামি করা হয়েছে। টোকাই সবুজের বাড়িও নগরীর খুলিয়াপাড়ায়। সবুজ তার মা ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করছে। তাদের মূল বাড়ি সিলেটের বাইরে। এক সময় সবুজ টোকাইয়ের কাজ করতো। ওই সময় থেকে সে এলাকায় ছিঁচকে চোর হিসেবে পরিচিতি পায়। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে কিলার পরিচিতিও পায়। খুলিয়াপাড়া ও কুয়ারপাড় এলাকায় নানা অপরাধের সঙ্গে সে জড়িত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। দা বিক্রম ও কৃষ্ণ সিলেট শহরে দাগি অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত। তারা বিভিন্ন সময় নগরীর আম্বরখানা, চৌকিদেখী, বড় বাজার, সাপ্লাইসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেছে। এসব এলাকার লোকজনও তাদের অপরাধ কাহিনী জানেন। এর আগে কৃষ্ণ বিভিন্ন সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। নিহত তাজুলের পরিবারের সদস্যরা জানান, পরিচিত এ কিলারদের চেনেন খুলিয়পাড়া ও কুয়ারপাড় এলাকার বাসিন্দারা। তারা অপরাধী হলেও এলাকায় দাপিয়ে বেড়াত। কিন্তু শেল্টাদাতাদের কারণে তারা সব সময়ই ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
সহ-সম্পাদক : জুমা কবীর মীম
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও অনামিকা এ/৩৪ পূর্ব শাহী ঈদগাহ, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭২২১৮৮৫৫১, ০১৭৫৫৮৬৬২২২, ০১৭১২৫৪০৪২০, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by M-W-D