প্রশিক্ষিত জনবল ও বিচারক স্বল্পতায় বাড়ছে মামলা জট

প্রকাশিত: ৪:৪৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০১৭

প্রশিক্ষিত জনবল ও বিচারক স্বল্পতায় বাড়ছে মামলা জট

প্রশিক্ষিত কর্মী এবং বিচারক স্বল্পতাসহ বিভিন্ন কারণে মামলা জট বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা। শনিবার সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএসএইড এর উদ্দ্যেগে আয়োজিত ‘অধস্তন আদালতের মামলা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জুডিশিয়াল পলিসি প্রণয়নে বিচারকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচার প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে মামলা জট বাড়ে। সেগুলো হলো- সেকেলে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া, সেকেলে অফিস প্রযুক্তি, ঐতিহ্যগতভাবে মামলা ব্যবস্থাপনায় আটকে থাকা, মামলার শাখা বিন্যাস, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে দক্ষতার অভাব, প্রশিক্ষিত জনবল ও বিচারকের স্বল্পতা ইত্যাদি।’

তিনি বলেন, ‘অধস্তন আদালতে কোনো পদ খালি হলে সেটি দ্রুত পূরণ করতে হবে। পদ খালি পড়ে থাকলে সেখানে মামলার সংখ্যা বাড়বে। বিচার বিভাগে বর্তমান সময়ে যেসব কর্মকর্তা নিয়োগ পাচ্ছেন, তারা অনেক বেশি দক্ষ। এ বিভাগকে আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে বিচারকদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

এসকে সিনহা বলেন, ‘অধস্তন আদালতের মামলা ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে এ কর্মশালার আলোচনা ও প্রশিক্ষণ ও মতামত জুডিশিয়াল পলিসি প্রণয়নে একটি বড় ভূমিকা রাখবে।’

এছাড়া জুডিশিয়াল পলিসি তৈরি হলে মামলার নিষ্পত্তিতে কর্মপন্থা তৈরি, প্রশাসনিক উৎকর্ষ বৃদ্ধি ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি মামলা জট এবং নিষ্পত্তিতে দীর্ঘ সূত্রিতার বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করেন। তা হলো- মামলা পরিচালনায়, পুরাতন প্রশাসনিক প্রক্রিয়া, ন্যায় বিচারের সময়মত প্রশাসন প্রচারনা অভাব, সেকেলে ফাইলিং সিস্টেম এবং সেকেলে অফিস প্রযুক্তি, দীর্ঘ সময় ধরে মামলা পরিচালনার পদ্ধতি, মামলা শাখাবিন্যাস, সমন্বয়হীনতার অভাব, উভয় অপারেটিং এবং কৌশলগত পরিকল্পনার অভাব।

তিনি বলেন, এসব সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান হলে মামলা জট কমবে এবং জনগণের কাঙ্ক্ষিত ন্যায় বিচার দ্রুত সময়ে পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

কর্মশালায় অধস্তন আদালতের ৪০ জন বিচারক ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। জেলা আদালতের বিচারকদের সঙ্গে যুক্ত গঠনমূলক সমস্যা সাধারণত বিচারকগণ প্রতিদিন কাজ করতে যে সমস্যা হয় তার বাস্তবমুখী সমাধান খুঁজে বের করতে বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করার জন্য বলা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা মাঠ পর্যায়ের বিচারক। তারাই মামলা ব্যবস্থাপনার সমস্যগুলো বেশি চিহ্নিত করতে পারবেন। তাই আশা করি, এ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী বিচারকরা এ সমস্যাগুলো তুলে ধরবেন।

‘বাংলাদেশের অধস্তন আদালত জন্য একটি কেস ম্যানেজমেন্ট নীতির উন্নয়ন কর্মশালা’ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্ট ইউএসএইডের কর্মকর্তা ড. শারমিন নাহার।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল