ফ্রান্সে ভিড়ের মধ্যে লরি নিয়ে হামলা, নিহত ৮৪ [ভিডিও]

প্রকাশিত: ৬:০৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০১৬

ফ্রান্সে ভিড়ের মধ্যে লরি নিয়ে হামলা, নিহত ৮৪ [ভিডিও]

ফ্রান্সের নিস শহরে একটিSoldiers, police officers and firefighters walk near dead bodies covered with a blue sheets on the Promenade des Anglais seafront in the French Riviera town of Nice on July 15, 2016, after a van drove into a crowd watching a fireworks display. At least 75 people were killed when a truck drove into a crowd watching a fireworks display in the French resort of Nice, a lawmaker said on July 15. / AFP PHOTO / VALERY HACHE অনুষ্ঠানে লরি নিয়ে হামলা চালালে শিশুসহ অন্তত ৮৪ জন নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতের এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ। এদের মধ্যে ১৮ জনের অবস্থা আশংকাজনক। পরে পুলিশ চালককে গুলি করে হত্যা করে লরি থামিয়েছে। খবর এএফপি, বিবিসি, রয়টার্সের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বাস্তিল দিবসের আতশবাজি উদযাপনে ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলের নিস শহরের বিখ্যাত প্রমেনেদ দে আঁগলাইসে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন।

সেই ভিড়ের মধ্যে চালক ২৫ টনি লরি ১শ’ মিটারের বেশি রাস্তা চালিয়ে নিয়ে যান।

স্থানীয় সরকারের প্রধান ক্রিস্তিয়ান এস্তরোসি বলেছেন, লরি নিয়ে যাওয়ার সময় চালক জনতার ওপর গুলিও চালাচ্ছিল। ওই লরি অস্ত্র এবং গ্রেনেড পাওয়া গেছে।

টুইটারের কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়, অনেক মানুষ রাস্তার ওপর পড়ে রয়েছে। দিশেহারা হয়ে ছোটাছুটি করছে আতংকিত মানুষ।

এ ঘটনাকে একটি সন্ত্রাসী হামলা বলে বর্ণনা করছে শহরটির কর্তৃপক্ষ। তারা বাসিন্দাদের ঘরের ভেতর থাকার জন্য অনুরোধ করেছে।

নিস মাতাঁ নামের একটি স্থানীয় পত্রিকার এক সাংবাদিক বিবিসিকে জানান, পুরো এলাকা রক্তে একাকার হয়ে গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটির খবরে বলা হয়, লরিচালকের বয়স ৩১ বছর। তিনি তিউনিসীয় বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি গুলির শব্দ শুনেছেন। প্রথমে আতশবাজির শব্দ মনে করলেও পরে তীব্র আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর অন্যদের মতো তিনিও নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দৌড়াতে থাকেন।

সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনার বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ হয়েছে। তাতে দেখা যায়, অসংখ্য মানুষ আতকিংত মুখে শহরের রাস্তা ধরে ছুটে পালাচ্ছেন।

ঘাতক লরিচালককেও পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন। তবে তার পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

এ ঘটনার পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁন্দ জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।

জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি এটিকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ফ্রাঁসোয়া ওলাঁন্দ বলেন, এটা যে সন্ত্রাসী হামলা, তা অস্বীকার করা যায় না।

এ ঘটনার পর তিনি জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও তিন মাস বৃদ্ধির কথা বলেছেন। চলতি মাসের ২৬ তারিখে জরুরি অবস্থার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

একইসঙ্গে ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ফরাসি সরকারের পদক্ষেপ জোরদার করার কথা বলেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেন, ‘ইসলামিক সন্ত্রাসের হুমকিতে গোটা ফ্রান্স। সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় যা করা প্রয়োজন, আমরা সবই করব।’

গতবছরের নভেম্বরে প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলায় ১৩০ জন নিহত হয়। এরপর থেকে দেশটিতে জরুরি অবস্থা রয়েছে। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটল।

বাস্তিল দুর্গ পতনের দিবস হিসেবে ফ্রান্সে জাতীয়ভাবে দিনটি পালন করা হয়। এ উপলক্ষেই শহরটিতে নানা অনুষ্ঠান চলছিল।  

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল