সিলেট ১লা মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:০২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০১৯
ডেক্স রিপোর্টঃঃএবার শিক্ষার্থীদের মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আইন অনুষদের ডিন মো. আব্দুল কুদ্দুস মিয়া। নির্যাতনের বিবরণ দিয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেন তিনি। একইসাথে নিরাপত্তাজনিত কারণে ছুটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় আইন অনুষদের ডিন সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল কুদ্দুস মিয়াকে নিজ রুমে কয়েকজন শিক্ষার্থী জিন্মি করে মানসিক নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে পদত্যাগ করতে চাপ প্রয়োগ করে বলে তিনি অভিযোগ করছেন।
ওই অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, গত ২৯ অক্টোবর বিকেল ৩টার সময় আইন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র হাসান আলি, মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ নাইম, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ কাফি, মোহাম্মদ সোলায়মান রাব্বিসহ ৭/৮ জন ছাত্র আমার ২০৮ নং রুমে প্রবেশ করে দরজা-জানালা বন্ধ করে জিম্মি করে আমাকে পদত্যাগের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা তার নিয়োগ অবৈধ বলে পদত্যাগ করতে বলেন। বিষয়টি তিনি মোবাইল ফোনে ভারপ্রাপ্ত ভাইন্স চ্যান্সেলর স্যারকে জানান। তখন ভাইন্স চ্যান্সেলর ছাত্রদের তার রুমে গিয়ে ছাত্রদের কথা বলতে বলেন। কিন্তু ছাত্ররা তার রুমে না গিয়ে তাকে তীব্র চাপ সৃষ্টি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
তিনি আরো জানান, ছাত্রদের মানসিক নির্যাতনে তিনি অসুস্থ অনুভব করেন। তিনি কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলতে থাকেন। তখন আবরারের কথা মনে হয় যে ছাত্ররা শারীরিক নির্যাতন করে তার মৃত্যু ঘটিয়েছে। আর মানসিক নির্যাতনে আমার মৃত্যু ঘটানো হলে আইনগত প্রতিকার থাকবে না। পরে আমি নিরাপত্তার বিষয় চিন্তা করে ১০ দিনের নৈমিত্তিক ছুটির দরখাস্ত দাখিল করে অফিস ত্যাগ করি।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভূঁইয়া কালের কণ্ঠকে মুঠো ফোনে বলেন, তিনি ছুটিতে আছেন। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শিক্ষক সমিতির অন্য সদস্যদের সাথে সভা করবেন। কারণ তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেলেও এখনও শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তার মতো একজন সম্মানিত মানুষের সাথে এমন আচরণ করা সঠিক হয়নি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অস্থিতিশীলতা যেন কাটছেই না। সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন পদত্যাগের পর থেকে প্রতিদিনই কোনো না কোনো অঘটন ঘটছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. নূরউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এম. এ. সাত্তারকে সভাপতি করে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্ত করে রেজিস্ট্রার বরাবর দাখিল করতে বলা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আইন বিভাগের সভাপতি মানসুরা খানম, এফবি বিভাগের সভাপতি তাপস বালা, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম গোলাম হায়দার ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান বলেন, আমরা এ সংক্রান্ত একটা অভিযোগ পত্র পেয়েছি। এ বিষয়ে তৎক্ষণিকভাবে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১২ দিন লাগাতার আন্দোলনের মুখে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাবেক উপাচার্জ অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন পদত্যাগ করেন। এরপর ইটিই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলল হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
৬৩৮২/১১০৪১৯
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : মোঃ আফছর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা (লিফটের-৮), জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭১২৫৪০৪২০, ০১৭১১৯৮৪০৬৫, ০১৭১৮৫৩৮০৪৫ , ০১৭১১-৩২৬০৯১, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by best-bd