বাংলাদেশকে ভারতের হাতে উজার করে দিচ্ছে সরকার: রিজভী আহমেদ

প্রকাশিত: ৬:৩৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৭

বাংলাদেশকে ভারতের হাতে উজার করে দিচ্ছে সরকার: রিজভী আহমেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার বাংলাদেশকে ভারতের হাতে উজার করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। শুক্রবার বেলা সোয়া এগারটার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ভোটারবিহীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর থেকে পুরোদেশকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে। কোথাও ট্রানজিটের নামে করিডোর দিয়ে, কোথাও মালামাল পরিবহনের নামে নৌ ও সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে। বাংলাদেশের স্থল পথ, নৌ পথ এমনকি আকাশ পথকে তারা অবাধে ব্যবহার করলেও বিনিময়ে আমরা কিছুই পাচ্ছিনা। বাংলাদেশের মানুষের বহু প্রতীক্ষিত তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় এ সেচ মৌসুমে গোটা উত্তরাঞ্চলে পানির জন্য হাহাকার চলছে। বাংলাদেশে এখন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক আগ্রাসন এখন অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে অত্যুগ্র মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনী সমূহের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করছেন বাংলাদেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্তমান সরকারের সাথে ঘনিষ্ট কাছাকাছি একটি দেশের কূটনীতিকরা। এটি কিসের আলামত। সরকার নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য অন্য দেশের সমর্থন নিতে গিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের পরিণতি এখন বিষম দূর্বিপাকের মধ্যে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পরনির্ভরশীলতার কারনেই প্রভুদের কাছে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তাকে উম্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিদেশী কূটনীতিকের পরিদর্শন কি অজানা চুক্তির বহিঃপ্রকাশ?

একতরফাভাবে বাংলাদেশের পাট ও পাটপণ্যের ওপর ভারতের অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপের ভারতে পাট রপ্তানি বন্ধ হয়ে পড়ছে। গত ৫ জানুয়ারি ভারত সরকার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে পাট ও পাটপণ্য রফতানি আটকে গেছে। এই নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন রফতানিকারকরা। এব্যাপারে তাবেদার সরকারের কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। উল্টো তাবেদার সরকার হাজার হাজার কোটি ব্যয় করে সড়ক মহাসড় তৈরি করে প্রতিবেশী দেশের পণ্য পরিবহনে সুবিধা করে দিচ্ছে। মংলা ঘসিয়াখালি নৌরুট দিয়ে যাতে ভারত সহজে পণ্য যাতায়াত করতে পারে সে জন্য গত সপ্তাহেও ৭০৬ কোটি টাকা বরাদ্ধ করেছে ভোটারবিহীন এ সরকার।

বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য এ সরকার শুরু থেকে জিয়া পরিবারকে টার্গেট করেছে। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বাড়ি কেড়ে নেয়া থেকে শুরু করে একের পর এক বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিপর্যস্ত করার জন্য এহেন প্রচেষ্টা নেই যা ভোটারবিহীন সরকার করছে না। আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বিচারিক প্রক্রিয়ার নামে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অমানবিক আক্রমণ চালানো হচ্ছে। নাজেহাল করতেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতি সপ্তাহে একবার অথবা দুই বার আদালতে উপস্থিত থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে।

এটা সরকার প্রধানের প্রতিহিংসার বর্ধিত প্রকাশ। পৃথিবীর কোন দেশে এমন নজির নেই। সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বয়োজৈষ্ঠ্য রাজনীতিবিদ কোটি কোটি মানুষের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে এহেন আচরণ অসদাচারণেরই সামিল। খারাপ সরকার থাকলে আইন প্রক্রিয়া অন্ধ বন্ধ্যা হয়ে যেতে বাধ্য।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল