সিলেট ৭ই মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০১৬
বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য বেশকিছু পদক্ষেপ অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সরকার।
এর ফলে তারা সেখানে বসবাসের জমিজমা কেনাসহ বেশকিছু সুবিধা পাবেন।
তাদের জীবনকে সহজ করার জন্যে এটি করা হচ্ছে বলে সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বহু মানুষ ভারতে যান। দীর্ঘমেয়াদী ভিসায় ভারতে বসবাসরত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানরা এই সুযোগ পাবেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
এর ফলে তারা সম্পত্তি কিনতে পারবেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন, কর্মসংস্থান নিজেরা করতে পারেন, ভারতের জাতী পরিচয়পত্রের শামিল বিভিন্ন কার্ড যেগুলো সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য জরুরি সেগুলোর জন্য তারাও আবেদন করতে পারবেন।
যেসব রাজ্যে তারা আছেন সেখানে অবাধে চলাচল করতে পারবেন। দীর্ঘমেয়াদী ভিসা না থাকলে সেজন্য আবেদনও করতে পারবেন।
আশে-পাশের দেশ থেকে আসা হিন্দু বা অন্যান্য সংখ্যালঘুদের আশ্রয় ও নাগরিকত্ব দেয়ার বিষয়টি ভারতে বিজেপি সরকারের নীতির একটি অংশ।
আর তাদের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত। পাকিস্তান বা বাংলাদেশ থেকে কোন মুসলিম এলে এই সুবিধা পাবেন না।
কিন্তু কোনও হিন্দু ধর্মানুসারী বা শিখ কিংবা বৌদ্ধ ধর্মানুসারী এই সুবিধা পাবেন।
এজন্য সাতটি রাজ্যের কতগুলো জেলাকে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে এবং সেসব জেলার প্রশাসকরা তাদের আবেদনে সম্মতি দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময় বহু হিন্দু ভারতে চলে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। তারা এর ফলে কতটা সুবিধা পাবেন?
এ প্রসঙ্গে দিল্লি থেকে বিবিসির সংবাদদাতা শুভজ্যোতি ঘোষ জানান, তারা এই সুবিধাগুলো পাবেন। তবে এখানে একধরনের খটকা রয়েছে।
মূলত পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু ও শিখদের কথা ভেবেই এটি করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সরকারি সূত্রে তিনি জানতে পারছেন।
কারণ যে ৭টি রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রশাসকদের এই সুবিধা দেয়ার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কোনও জেলা নেই।
নির্দিষ্ট সাতটি রাজ্য হল, ছত্তিশগড়, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থান।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, বা মেঘালয় অর্থাৎ যেসব এলাকায় গিয়ে বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা গিয়ে সচরাচর থাকেন সেসব এলাকায় এসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে না।
সুতরাং তারা এসব এলাকায় কতটা লাভবান হবেন সেটি একটি প্রশ্ন। কিন্তু দিল্লিসহ নির্দিষ্ট সাতটি রাজ্যে গিয়ে তারা এইসব সুবিধা নিতে পারবেন।
সুত্রঃ বিবিসি
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : মোঃ আফছর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা (লিফটের-৮), জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭১২৫৪০৪২০, ০১৭১১৯৮৪০৬৫, ০১৭১৮৫৩৮০৪৫ , ০১৭১১-৩২৬০৯১, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by best-bd