‘বাড়ি ছেড়ে দাও না হলে জঙ্গি বলে ধরিয়ে দিব ‘ব্যাচেলরদের বাড়ির মালিকের হুমকি

প্রকাশিত: ২:৪৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০১৬

‘বাড়ি ছেড়ে দাও না হলে জঙ্গি বলে ধরিয়ে দিব ‘ব্যাচেলরদের বাড়ির মালিকের হুমকি

bachalarবিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য আনুযায়ী ঢাকায় এগারো লাখ  ব্যাচেলর  বিভিন্ন মেস ও বাসা বাড়া  থাকে। এদের বেশিরভাগ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী । এসব যুবকের জীবন চলছিল সবার মতোই, কিন্তু বর্তমানে কিছু ঘটনা থামিয়ে দিল সাময়িক সময়ের জন্য সবাইকে । পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতে রাত জেগে গল্প করে সবাই, আড্ডায় আড্ডায় নিজ দর্শন ও রাষ্ট্রকে বোঝতে চেষ্টা করে । একে অন্যের জানা -অজানা বিষয় শেয়ার করে। ব্যাচেলর জীবনের কথা কবি, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ কেউ ভুলেনি। কিন্তু বর্তমান সমস্যাটি নেতিবাচক ভাবে দেখছে সবাই ।

সাম্প্রতিক  সময়ের এই মানবেতর পরিস্থিতির জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলেন না । বাড়ির মালিক ও ব্যাচেলর তর্কে সারা দেশেরে হাটবাজার থেকে চায়ের দোকান ।একাকী নীরব কোন  যুবককে দেখলে অন্যভাবে দেখছে সবাই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ নেই বাড়ীর মালিকের প্রতি তারপরও বাড়ীর মালিকরা নিজেদের মতো করে সাজিয়ে নিচ্ছে নোটিশ বোর্ড ।

ভোক্তভোগী অনেকে সবাই যার যার মতো করে অভিযোগ করছে । কল্যাণপুরে তাজ মঞ্জিলে জঙ্গি নির্মূল অপারেশনের পর সারা দেশে আতঙ্কে আছে ব্যাচেলরসহ পিতা- মাতা । ঢাকা  কলেজের ইংরেজি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ইমন (নাম গোপন রেখে) কল্যানপুরে  ১১ নাম্বার ওয়ার্ডে আব্দুল আওয়ালের বাসায় বাড়া থাকেন। প্রতিনিয়ত পড়াশোনার পাশাপাশি সামাজিক কাজকর্মে অংশ গ্রহণ করেন তিনি।

কল্যাণপুরের  অপারেশন  স্টর্ম ২৬ এর পরে তার সকাল ভাল কাজ গুলোর দিকে কেন জানি অন্যভাবে নজর দিচ্ছে বাড়ির মালিক।আতঙ্ক ও ভয় নিয়ে সারা দেশের জনগণের মতো ইমন ও চিন্তিত।প্রতিদিন দুইবার পরিবারের পক্ষ থেকে খবরা খবর রাখছে।মা বাবা ও চিন্তিত বাড়ি ও যেতে পারছে না কারন কলেজে ক্লাস চলছে।

হুট করে বাড়ির মালিকের বাসা ছাড়ার নোটিশ দেখে অসহায় মনে করেছিল নিজেকে, কোথায় যাবে এমন অবস্থায়। মালিককে কারণ জিজ্ঞেস করলে মালিক স্থানিয় নেতার আদেশ আছে বলে জানান। বারবার অনুনয়ের মাধ্যমে কারণ জানতে চাইলে মালিক বলেন ‘বাসা ছেড়ে দিবে না হলে জঙ্গি বলে ধরিরে দিব। বাড়িওয়ালার এমন হুমকিতে যে কারও মানসিক অবস্থার অবনতি হতে পারে’।

এ বিষয়ে  ঢাকা মহানগরের গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনাররের ছানোয়ার  জানান  ‘প্রশাসন থেকে এই রকম কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি, বাড়িওয়ালা তার ভাড়াটিয়া ফর্ম পূরণ করে স্থানীয় থানায় জমা দিলে এর পর থেকে সকল দায়িত্ব পুলিশের। কোথাও হয়তো ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। সকল ধরনের অভিযোগ স্থানীয় থানায় জানাতে পারে সেইটা মালিক হোক আর ভাড়াটিয়া।

নাম প্রকাশে আনিচ্ছুক এক বাড়ির মালিক জানান ‘আমরা কি করব বলেন, স্থানিয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতারা চাপ প্রয়োগ করছে ব্যাচেলরদের নিয়ে এতে আমরা উভয় সংকটে আছি নিজেরাও’ ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল