বিএনপি নির্মুলের এখন প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছে আ.লীগ : মির্জা আলমগীর

প্রকাশিত: ২:১৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০১৬

বিএনপি নির্মুলের এখন প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছে আ.লীগ : মির্জা আলমগীর

0-97-696x467আগস্ট ২০, ২০১৬: দেশের মুল ধারার রাজনীতি থেকে বিএনপি নিশ্চিহ্ন করতে ‘গোপন ষড়যন্ত্রে’র পরিবর্তে এখন প্রকাশ্যেই ক্ষমতাসীণ আওয়ামী লীগের নেতারা হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র বিলীন করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করার ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে বলেও দাবি করেন তিনি।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদারের ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী ও প্রয়াত নেতা ফজলুর রহমান পটলের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্য আজকে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, তা এখন আর গোপনে চলছেনা। প্রকাশ্যেই আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীরা হুমকি দিচ্ছেন, যে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে।

“বিএনপির মতো একটি গণতান্ত্রিক শক্তি যারা দীর্ঘদিন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। সেই দলটিকে আজকে নির্মুল করে দেওয়ার যে ঘোষণা আওয়ামী লীগের কিছু কিছু নেতা দিচ্ছেন, তাতে প্রমান হয়ে যাচ্ছে তারা বিএনপিকে মুল ধারার রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়”, বলেন বিএনপি মহাসচিব।

বিএনপিকে ‘নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার’ এই ‘ষড়যন্ত্র’ দেশের সবমহলের জন্য উদ্বেগের বিষয় বলেও বর্ননা করেন মির্জা ফখরুল।

“এটি শুধু বিএনপি নয়, সব গণতন্ত্র শক্তি এবং দেশের জনগণের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয়। তাহলে কি এই সরকার বাংলাদেশেশ থেকে বহুদলীয় রাজনীতি ধ্বংস করে আবার তাদের আগের যে স্বপ্ন সেই একদতলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়”, বলেন তিনি।

‘আওয়ামী লীগ জঙ্গিবাদ নির্মুল চায় না’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে জঙ্গিবাদের আরো প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। যাদের জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাদের বিচারের মুখোমুখি না ক্রসফায়ারে মেরে ফেলা হচ্ছে। এই বিষয়টিকে হালকা করে দেখার উপায় নেই।

জঙ্গিবাদের সঙ্গে বিএনপিকে জড়িয়ে ক্ষমতাসীনদের দেওয়া বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা এসব কথা বললেও কখনো তা প্রমান করতে পারেনি। বরং যেসব জঙ্গি ধরা পড়ছে তাদের মধ্যে অনেকে আছেন, যাদের পিতামাতা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ‘সরকারের মিথ্যাচার’ দিয়ে এটি প্রতিরোধ করা যাবেনা বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সেজন্য জনগণকে শক্তিশালী করতে হবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এবং ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে’ ফের জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব।

দল সংকটকালীন সময় পার করছে জানিয়ে নেতাকর্মীদের বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান আহবান জানান তিনি।

এ সময় বিএনপি মহাসচিব দলের ত্রান্তিকালে প্রয়াত মহাসচিব সালাম তালুকদারের দায়িত্বশীল ভুমিকার কথা স্মরণ করে বলেন, তিনি দলকে ঐক্যবদ্ধ ও গতিশীল করতে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রেখেছিলেন। আজ ১৭ বছর পর দলের সবচেয়ে বড় দুর্দিনে এই নেতার অভাব অনুধাবন করছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সালাম তালুকদার স্বৈরাচারের বিরোধী আন্দোলনে সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রেখেছেন। তার মেধা, প্রজ্ঞা ও দৃঢ়তা অনুকরণীয় ছিলো।

দোয়া মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ প্রশিক্ষণ বিষয়ব সম্পাদক ড. মোরর্শেদ হাসান খান, ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক প্রমুখ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল