সিলেট ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:০৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০১৬
দিল্লিতে আজ বাংলাদেশ ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এক আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা আগের যেকোন সময়ের চেয়ে তুলনায় বহুগুণ বেড়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের তৎপর বিচ্ছিন্নবাদী দলগুলোর বাংলাদেশে অভ্যন্তরে যেসব ঘাঁটি ছিল সরকার সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। সেজন্য ভারত সরকার বাংলাদেশকে প্রশংসা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের কর্মকর্তারা প্রায়সই একান্তে স্বীকার করেন ভারতের কাছ থেকে তারা যা আশা করেন অনেক সময়ই সেটা তারা পান না। দু-দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতার প্রশ্নে ভারত কি আসলেই বাংলাদেশের জন্য আস্থার জায়গা তৈরি করতে পারছে?
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আস্থার বিষয়ে বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলেন দিল্লির নিরাপত্তা বিশ্লেষক কিশালয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, গত ৩০ বছর ধরে আমরা দেখছি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যখন কিছু একটা হয় ঠিক তার পরে হয়তো দুটো দেশ মিলে আলোচনা করে এবং কিছু তথ্য আদান-প্রদান হয়। কিন্তু তারপরে ফলোআপ কোন দেশই করে না।
২০০৯-১০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের কাছ থেকে ভারতের যতটা পাওয়া দরকার ছিল সেটা পায়নি। ২০১০ সাল থেকে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে ভারতের যা যা প্রয়োজন বাংলাদেশ সেখানে ভালভাবে সাড়া দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের যতটুকু ভূমিকা রাখা উচিত এবং সহযোগিতা করা উচিত, ভারত তা কতটুকু সিরিয়াসভাবে দেখে সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।
বাংলাদেশে যেসব জঙ্গিদল রয়েছে তারা যাতে ভারতের কোন জঙ্গি দলের কাছ থেকে সহযোগিতা নিতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ দীর্ঘ দিন ধরে ভারতেকে বলে আসছে। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা প্রায়ই বলেন তারা ভারতের কর্মকর্তাদের সাথে যখন বৈঠক করেন তখন একটা লিস্ট দেন যার মধ্যে শুধু জঙ্গিদের নাম থাকে না, সাধারণ অপরাধীদের নামও থাকে কিন্তু ভারত এইসব ব্যাপারে ভারতের তেমন কোন পদক্ষেপ দেখা যায় না।
এই মানসিকতা কেন তৈরি হয়েছে সে প্রসঙ্গে কিশালয় ভট্টাচার্য বলেন, পদক্ষেপ না নেওয়ার দুটো কারণ রয়েছে। তার একটা হল ঐ তালিকাতে বেশিরভাগ ক্রিমিনালদের নাম, জঙ্গিদের নাম কম। যে ধরনের সন্ত্রাসী বা জঙ্গি হোক না বা ভারতের যতটুকু ভূমিকা রাখা দরকার সেটা তারা করছে না। ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও আসাম এই চারটি রাজ্যের সাথে চার হাজার কিলোমিটার সীমান্ত আছে। সেই চার হাজার কিলোমিটারে ৬০ টি চোরাচালানের পয়েন্ট আছে। সেই পয়েন্টগুলো দিয়ে শুধু গরু আর বন্দুক চালান হয় না আরও অনেক কিছু যায় সেখান দিয়ে। অন দ্যা গ্রাউন্ড যদি কো-অপারেশন না থাকে তাহলে এগুলো বন্ধ করা সম্ভব হবে না।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তার প্রশ্নে মূল চ্যালেঞ্জটা কোথায় হবে সে প্রসঙ্গে কিশালয় ভট্টাচার্য বলেন, দুই দেশের মধ্যে মূল চ্যালেঞ্জটা হবে মৌলবাদকে কিভাবে বিলুপ্ত করা যায়। আইএসের প্রভাব বাংলাদেশে বা ভারতে কতটা প্রভাব পড়েছে সেটা দেখতে হবে। বাংলাদেশ বার বার বলছে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর সাথে আইএসের কোন সংযোগ নেই এটা দেশীয় জঙ্গিরা ঘটাচ্ছে। কিন্তু বাইরের বিশেষজ্ঞরা বলছে, আইএসের প্রভাব বাংলাদেশে আছে। আইএস যতবেশি বাংলাদেশ এবং ভারতের কাছে চলে আসবে সেটা নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশ তত বেশি আলোচনা করতে হবে আইএসের প্রভাব কতটা আছে এবং কিভাবে আইএসের প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়া যায়।
সূত্র: আমাদের সময়.কম : ২৮/০৭/২০১৬
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : মোঃ আফছর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা (লিফটের-৮), জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭১২৫৪০৪২০, ০১৭১১৯৮৪০৬৫, ০১৭১৮৫৩৮০৪৫ , ০১৭১১-৩২৬০৯১, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by best-bd