বিয়ানীবাজারে গৃহপরিচারিকা ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা

প্রকাশিত: ১০:০৪ অপরাহ্ণ, মে ২৬, ২০২২

বিয়ানীবাজারে গৃহপরিচারিকা ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি: বিয়ানীবাজারের এক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির গৃহপরিচারিকা ধর্ষনের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বুধবার ভোরে উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ওরফে মাহবুব আহমদের মাটিজুরাস্থ বসতবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতার বাড়ি প্রতিবেশী উলুউরি গ্রামে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ভোরে ঘুম থেকে ওঠে পুকুরঘাটে যায় ওই গৃহপরিচারিকা। সেখানে কাপড় ধোয়ার সময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ধর্ষক হাসান আহমদ পিছন দিক থেকে এসে তার মুখ চেপে ধরে টেনে-হিঁচড়ে একই বাড়ির গোয়ালঘরে নিয়ে যায়। ওইস্থানে ধর্ষক হাসান রামদা দিয়ে খুন করার ভয় দেখিয়ে গৃহপরিচারিকাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে বিষয়টি যাতে কাউকে না বলে সেজন্য ধর্ষিতাকে শাসিয়ে দেয় সে। তবে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ধর্ষিতা বিষয়টি চেয়ারম্যানের স্ত্রীকে জানায়। চেয়ারম্যানের স্ত্রী একপর্যায়ে ধর্ষনের ঘটনাটি চেয়ারম্যানকে অবগত করেন এবং তাকে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তার শারীরিক পরীক্ষা নিরিক্ষা করে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানান।
চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ওরফে মাহবুব আহমদ বলেন, আমার বাড়িতে ছয় হাজার টাকা বেতনে ওই মেয়েটি গৃহপরিচারিকার কাজ করে। ধর্ষক হাসান আমার বাড়িতে আসা-যাওয়ার সূত্র ধরে প্রায়ই তাকে কুপ্রস্তাব দিত। কিন্তু মেয়েটি তাতে সম্মত না হওয়ায় হাসান তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। তবে হাসান আহমদের পিতা মো: আব্দুর রহমান অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান শত্রুতাবশত: তার ছেলেকে দায়ী করতে মামলাটি করিয়েছেন। ঘটনাটি সাজানো বলেও তিনি দাবী করেন।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে হাসান আহমদকে আসামী করে মামলা (নং-৭৮, তাং ২৫/০৫/২০২২ইং) দায়ের করেছেন। তার বাড়ি একই ইউনিয়নের সদরপুর গ্রামে। পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল