সিলেট ৮ই মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:২২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০১৯
ভারতে এই প্রথম পূর্ণাঙ্গ সফর করতে গেছে বাংলাদেশ। সফরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে। কাল প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। সাকিববিহীন বাংলাদেশ কি পারবে ভারতের মাটিতে ভারতকে হারিয়ে সিরিজের শুভসূচনা করতে? অতীত থেকে কি কোনো অনুপ্রেরণা তারা পাবে? দুঃখজনক হলেও সত্য, এ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে আটবারের মুখোমুখিতে একবারও ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ।
২০০৬ সালে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি খেলা শুরু করলেও ২০০৯ সালের আগে ভারতের মুখোমুখি হয়নি। ভারতের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ আসে ২০০৯ সালের ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতে (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ)। ট্রেন্ট ব্রিজের সে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৮০ রান তোলে ভারত। শেষ দিকে এসে বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধুনো করে মাত্র ১৮ বলে ৪১ রান তোলেন যুবরাজ সিং। ম্যাচ বলতে গেলে সেখানেই হাতছাড়া হয়ে যায় বাংলাদেশের। পরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৫৫ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। জুনায়েদ সিদ্দিকী ২২ বলে ৪১ রান করলেও আর কেউ বড় স্কোর পাননি। স্পিনার প্রজ্ঞান ওঝা একাই ৪ উইকেট তুলে নেন। শেষে নাঈম ইসলাম ঝড় তুললেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ২৫ রানে হারে বাংলাদেশ।
পাঁচ বছর পর আবার দেখা হয় দুই দলের। এ বারও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এবার প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর অমিত মিশ্রর আঁটসাঁট বোলিংয়ে ৭ উইকেটে মাত্র ১৩৮ রান তোলে স্বাগতিকেরা। ওপেনার এনামুল ৪৪ রান করলেও বল বেশি খেলে ফেলেছিলেন তিনি (৪৩)। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহর ছোট্ট ঝড়ে (২৩ বলে ৩৩) ১০০ পেরোয় বাংলাদেশ। মাত্র ১৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন অশ্বিন। পরে ব্যাট করতে নেমে অনায়াসেই সে লক্ষ্য অতিক্রম করেন কোহলি-রোহিতরা। দুজনেই ফিফটি তুলে নেন। ৯ বল হাতে রেখে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় ভারত।
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে হার এখনো কষ্ট দেয় বাংলাদেশের সমর্থকদের.
এবার এশিয়া কাপে মুখোমুখি হয় দুই দল। প্রথমে ব্যাট করতে নে
মে ১৬৬ রান তোলে ভারত। অর্ধেক রান রোহিত শর্মা একাই তোলেন। ফলে ব্যাট হাতে বিরাট কোহলি ব্যর্থ হলেও সমস্যা হয়নি ভারতের। শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়ার ঝড়ে লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে যায় বাংলাদেশের জন্য। ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন আল আমিন হোসেন। পরে ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। সাব্বির রহমান ৪৪ রান করে যা একটু প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন, বাকি সবাই ব্যর্থ। আশিস নেহরা তুলে নেন ৩ উইকেট। ৪৫ রানে হারে বাংলাদেশ।
সেবার এশিয়া কাপের ফাইনালেও মুখোমুখি হয় দুই প্রতিবেশী। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে যেন ব্যাট করতে ভুলে গিয়েছিলেন তামিম-সাকিবরা। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহর ১৩ বলে ৩৩ রানের ইনিংসটি না থাকলে ১০০ রানই পার হয় না বাংলাদেশের। বৃষ্টির কারণে ১৫ ওভারে নেমে এসেছিল ম্যাচ। ৫ উইকেটে ১২০ রান তোলে বাংলাদেশ। পরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩.২ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। শিখর ধাওয়ান আর বিরাট কোহলির ব্যাটে চড়ে এশিয়া কাপ জেতে ভারত।
বাংলাদেশি সমর্থকদের সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয় এ ম্যাচটা। ভারতকে হারানোর হাতছোঁয়া দূরত্বে এসেও নিজেদের বোকামির কারণে ম্যাচ হেরে বসে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৪৬ রান তোলে ভারত। দুটি করে উইকেট নেন আল আমিন হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান। ব্যাট করতে নেমে জয়ের লক্ষ্যেই দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। শেষ দিকে এসে একপর্যায়ে ৩ বলে ২ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। তখন হার্দিক পান্ডিয়াকে সীমানাছাড়া করার ভূত চেপে ধরে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে। তা করতে গিয়ে আউট হন দুজনেই। বাংলাদেশ হেরে বসে ১ রানে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৩৮ রানে আটকে যায় বাংলাদেশ। ৩০ ছাড়ানো স্কোর করেন সাব্বির রহমান ও লিটন দাস। ভারতের হয়ে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার জয়দেব উনাদকাট। আরেক পেসার বিজয় শংকর নেন ২ উইকেট। পরে ব্যাট করতে নেমে ৮ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় ভারত। ফিফটি পান শিখর ধাওয়ান। এ ম্যাচে সাকিব আল হাসানকে পায়নি বাংলাদেশ।
এবার আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে রানপাহাড়ে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে ভারত। সে লক্ষ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন রোহিত শর্মা। ৬১ বলে ৫টা করে চার-ছক্কা মেরে ৮৯ রান তোলেন রোহিত। ৩ উইকেটে ১৭৬ রান তোলে ভারত। পরে ব্যাট করতে নেমে ৫৫ বলে ৭২ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের ভাগ্য খারাপ, সে ম্যাচে মুশফিককে যোগ্য সাহচর্য কেউই দিতে পারেননি। ৬ উইকেটে ১৫৯ রান তুলেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ৩ উইকেট নেন স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর।
এ ম্যাচেও স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়েছিল বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৬৬ রান তোলে বাংলাদেশ। ৫০ বলে ৭৭ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন সাব্বির রহমান। পরে ব্যাট করতে নেমে ভারতকে প্রায় আটকেই রেখেছিল বাংলাদেশ। শেষ দিকে মোস্তাফিজের আঁটসাঁট বোলিংয়ে ১৮ তম ওভারে মাত্র ১ রান তুলেছিল ভারত। তাতেই জয়ের আশা বাড়ে বাংলাদেশের। শেষ দুই ওভারে ৩৪ লাগবে, এমন সমীকরণে উইকেটে আসেন দীনেশ কার্তিক। রুবেলের করা ১৯তম ওভারে ২২ রান তোলেন তিনি। শেষ ওভারে ১২ লাগলেও আসল ক্ষতি হয়েছিল রুবেলের ওভারেই। শেষ ওভারেও সৌম্য শেষ চেষ্টা করেছিলেন ভারতের রানের গতিতে লাগাম দেওয়ার। পঞ্চম বল পর্যন্ত পেরেছিলেনও। শেষ বলে দরকার ছিল ৫ রানের। কার্তিক শেষ বলে ছক্কা মেরে ভারতকে জিতিয়ে দেন শিরোপা।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : মোঃ আফছর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা (লিফটের-৮), জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭১২৫৪০৪২০, ০১৭১১৯৮৪০৬৫, ০১৭১৮৫৩৮০৪৫ , ০১৭১১-৩২৬০৯১, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by best-bd