১০ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৩৪ অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০১৬
শেখ কামরুল হাসান সাহান: বাংলাদেশের পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের টিলায় ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। এতে এখানে আসা পর্যটকেরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। ২২ দিন এই পরিস্থিতি থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটি মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছে না। এতে টিলা ধসে যেকোনা সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৭ ও ১৮ মে টানা ভারী বর্ষণে জলপ্রপাতের ভেতরে পানি পড়ার স্থানে যাওয়ার রাস্তার এক পাশের একটি টিলায় ফাটলের সৃষ্টি হয়। এ সময় ভূমিধসে জলপ্রপাতের পানি পড়ার স্থানে পর্যটকদের বিশ্রাম নেওয়ার একটি ছাউনি, পর্যটক পুলিশের (টু৵রিস্ট পুলিশ) চৌকি ও একটি শিবমন্দির ভেঙে পড়ে। ২১ মে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে দিনভর বৃষ্টি হওয়ায় টিলায় ফাটল আরও বেড়ে যায়।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, টিলার প্রায় ৩০ শতক জায়গাজুড়ে প্রায় এক ফুট চওড়া ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নিচের সড়কটি মূল সড়ক থেকে প্রায় দুই ফুট দেবে গেছে। সেখানে লাল পতাকা টাঙিয়ে রাখা হয়েছে। বেড়াতে আসা পর্যটকেরা ওই সড়ক দিয়েই হেঁটে জলপ্রপাতের পানি পড়ার স্থানে যাচ্ছেন।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ এলাকা থেকে সপরিবারে বেড়াতে আসা বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী ফাটল দেখে ভয় পেয়ে যান। পরিবারের সদস্যদের তিনি ধরে ধরে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানটি পার করে দেন।
মাধবকুণ্ডে টিলার দায়িত্বে থাকা পর্যটক পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, প্রতিদিন তিন-চার হাজার পর্যটক মাধবকুণ্ড বেড়াতে আসেন। সামনে ঈদুল ফিতর। তখন পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে। টিলায় ফাটল দেখা দেওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানটি সাবধানে অতিক্রম করতে পর্যটকদের পরামর্শ দেওয়া হয়।
মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক দেখভালের দায়িত্বে থাকা বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জুড়ী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল মোজাহীদ গতকাল বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘টিলাটি যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এস এম আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘টিলাটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় নিচের সড়ক দিয়ে পর্যটকদের চলাচল বন্ধ করার চিন্তা করা হয়েছিল। কিন্তু দূরদূরান্ত থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকদের তখন জলপ্রপাত না দেখে ফিরে যেতে হবে, সে কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে এমন ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
সহ-সম্পাদক : জুমা কবীর মীম
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও অনামিকা এ/৩৪ পূর্ব শাহী ঈদগাহ, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭২২১৮৮৫৫১, ০১৭৫৫৮৬৬২২২, ০১৭১২৫৪০৪২০, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by M-W-D