গোবিন্দগঞ্জ কলেজ ছাত্রদলের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিবদমান দুই গ্র“পের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন সমর্থিত ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান এর কর্মীদের মধ্যে দুপুর ১ ঘটিকায় কলেজ কেম্পাসে মিলন সমর্থিত একাংশের সভাপতি মতিউর রহমান রুমান এর নেতৃত্বে অপর গ্র“পের মিজান সমর্থিত উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র কোন নেতাকর্মী না থাকায় এক পর্যায়ে উপজেলা ছাত্রদলের খলিলুর রহমান ফয়স ও শাব্বির আহমদ সারওয়ারে এর নেতৃত্বে উভয় গ্র“পের নেতাকর্মীরা আলাদা আলাদা অবস্তান নিয়ে এক প্রর্যায়ে মুখোমুখী সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে আমিন ফিলিং ষ্টেশন ভাংচুর করে মিলন গ্র“পের কর্মীরা। পাল্টা ধাওয়া করে মিজান গ্র“পের কর্মীরা স্থানীয় ফরিজা ম্যানশনে মিলন গ্র“পের অফিস ভাংচুর করে। সংঘর্ষের সময় সিলেট, সুনামগঞ্জ ও ছাতক রোডের রাস্তা যানজট সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে আহত হন মিলন গ্র“পের মোল্লা সুমন, আলমগীর, মাহবুবসহ ৮-১০ জন। মিজান গ্র“পে সাদিক, আমির আলীসহ ৪-৫জন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন গোবিন্দঞ্জ কৈতুক হাসপাতাল থেকে। বিএনপির দুই গ্র“পের সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ছাতক থানা পুলিশ ঘটনাস্থল এসে উভয় গ্র“পের নেতাকর্মীকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। পরে মিলন গ্র“পের ছাত্রদল নেতা আব্দুল মুমিন কে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
বর্তমানে গোবিন্দগঞ্জে অবস্থান নিয়ে মিজান গ্র“পের নেতাকর্মীরা মিছিল ও সমাবেশ করে। বর্তমানে গোবিন্দগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় যে কোন সময় সংঘর্ষ ঘটনা ঘটতে পারে দুই গ্র“পের নেতাকর্মীরা তমতমে বিরাজ করছে।
ছাতক থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, দুই গ্র“পের লোকদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে দুইগ্র“পের নেতামর্কী শান্ত রয়েছে। এবং পুলিশ মোতায়ায়েন করা হয়েছে।