মিতু হত্যা- : মিশন বাস্তবায়ন করে বাবুল আক্তারের দুই সোর্স

প্রকাশিত: ১২:১০ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০১৬

মিতু হত্যা- : মিশন বাস্তবায়ন করে বাবুল আক্তারের দুই সোর্স

Babul-Akhter-220160605141054চট্টগ্রামের আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু আক্তার হত্যাকা-ের মিশন বাস্তবায়ন করেন এসপি বাবুল আক্তারের সোর্স আবু মুছা ও এহতেশামুল হক ভোলা। হত্যাকা-ে অংশ নেড আরও কয়েকজন ভাড়াটে খুনি।
তবে পুরো মিশনের দায়িত্বে ছিলেন সোর্স আবু মুছা বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের এক সূত্র।
মিতু হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে আবু মুছা ও এহতেশামুল হক ভোলা রয়েছেন।
সূত্র আরও জানান, মুছা ছিলেন বাবুল আক্তারের বিশ্বস্ত নতুন সোর্স। এর আগে সোর্স হিসেবে কাজ করতো এহতেশামুল হক ভোলা। ভোলা এই কাজ থেকে সরে গিয়ে তার পরিবর্ততে মুছাকে বাবুল আক্তারের সঙ্গে পরিচয় করে দেন। সে থেকে বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে নিয়মিত কাজ করছেন মুছা। তবে বাবুল আক্তারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল ভোলার।
এর মধ্যে ভোলা একবার অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়। নতুন ব্রিজ,চাক্তাই এলাকার সন্ত্রাসী ছিলেন এহতেশামুল হক ভোলা। তার একটি বাহিনী রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় রয়েছে একাধিক মামলা।
এদিকে আবু মুছা দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। অনেক সময় ভাড়াটে খুনি হিসেবে কাজ করেন। তার বাড়ি রাঙ্গনিয়ার রানীহাট এলাকায়। চট্টগ্রাম নগরীতে এসপি বাবুল আক্তারের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। এর পর কারাগারে ভোলার সঙ্গে পরিচয় হয় মুছার। কারাগার থেকে বের হয়ে দু’জনই বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে কাজ করেন। বছর দু’এক থেকে বিশ্বস্ত সোর্স হিসেবে মুছা বাবুল আক্তারের সঙ্গে কাজ করছেন।
বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা-ের মিশন বাস্তবায়নের দায়িত্বে মুছা থাকলেও ভাড়াটে খুনি ও তাদের অস্ত্রের যোগান এহতেশামুল হক ভোলা দিয়েছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন বলে গোয়েন্দা পুলিশের সূত্রে জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের দুইজন শীর্ষ কর্মকর্তা এবং তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মিতু হত্যাকা-ে অংশ নেওয়া চারজনকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আটক চারজনের মধ্যে দু’জনই বাবুল আক্তারের সোর্স।
সূত্র জানায়, আটকের পর চারজনের আলাদা আলাদা করে জবানবন্দিও নেওয়া হয়। ওই জবানবন্দিতে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেন।
এদিকে শুক্রবার গভীর রাতে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় শ্বশুরের বাসা থেকে বাবুল আক্তারকে নিয়ে যায় পুলিশ। এর পর শনিবার বাবুল আক্তারকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে মিতু হত্যাকা-ের ঘটনায় কঠোর নিরাপত্তায় জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকালে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চত করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল