মুক্তিযোদ্ধারা বাংলার ইতিহাসে আজীবন অমর হয়ে থাকবেন—সাবেক মেয়র কামরান

প্রকাশিত: ৭:৩২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬

মুক্তিযোদ্ধারা বাংলার ইতিহাসে আজীবন অমর হয়ে থাকবেন—সাবেক মেয়র কামরান

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেছেন- “মুক্তিযোদ্ধারা বাংলার ইতিহাসে আজীবন অমর হয়ে থাকবেন। আমাদের প্রাণপ্রিয় সোনার বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কোনও দানবশক্তি মুছে ফেলতে পারবে না কখনো। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস বিকৃতিকারীরা পরাজিত হবেই হবে। এ সকল অপশক্তি বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হবেই একদিন। এখন সময় এসেছে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও প্রকৃত ইতিহাস জানানোর মাধ্যমে বাংলাদেশকে আলোকিত পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।”
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সিলেট নগরীর আখালিয়াস্থ ব্রাহ্মণশাসনে ‘উজ্জীবন ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সংস্থা’র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন- “কুখ্যাত রাজাকার, আলবদর, আলশামসের কূটকৌশলের কারণে আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ রক্তাক্ত হয়েছে। তারা বাংলাদেশের চিরশত্রু। এসকল দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে সবাইকে এক হওয়া প্রয়োজন।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৮নং ওয়ার্ডের তিনবারের নির্বাচিত সাবেক কাউন্সিলর ও সিলেট জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ জগদীশ চন্দ্র দাস।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন- সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল খালিক, সিলেট মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ রায় রানা, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিদ্দেক আলী তালুকদার, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম নজু, কাউন্সিলর রেবেকা বেগম রেনু, সিলেট মহানগর যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুদীপ দে, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রিন্স সদরুজ্জমান, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ, তরুণ সমাজসেবক মো. ফয়জুল হক, দেলোয়ার হোসেন জয়, আনোয়ার হোসেন, ছাত্রনেতা ধনঞ্জয় দাস ধনু, সাংবাদিক সজল ঘোষ, মনি দাস, জুবের আহমদ, সোনা মিয়া, জয়দীপ দাস জনি, অপূর্ব আচার্য্য, পান্না দাস, সামাদ আহমদ, মাহমুদ আহমদ ও আফসর পারভেজ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- ননী গোপাল দাস, কৃষ্ণ কান্ত দাস, জিতেন্দ্র কুমার দাস, রজনী কান্ত দাস, পরিতোষ দাস, অনিল দাস, বিমল চন্দ্র দে, হরিপদ দাস, সিদ্দেক আলী তালুকদার, মনিন্দ্র কুমার দাস ও বিজয় গোয়ালা।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শহীদ মুক্তিযোদ্ধা দ্বিগেশ চন্দ্র ঘোষের পুত্র সন্তোষ ঘোষ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সুনীল চন্দ্র ঘোষের পুত্র অলক কুমার ঘোষ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আহ্লাদ ঘোষের পুত্র আশু ঘোষ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ভোলানন্দ ঘোষের পুত্র সাধন ঘোষ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বীরেন্দ্র ঘোষের ভাতিজা দুলাল ঘোষ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হরিদাশ কপালীর সন্তান মিন্টু কপালী, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল বারীর স্ত্রী, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মনীন্দ্র দাস মানিক দাস, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পুলিন চন্দ্র দেবের ছেলে অজয় দেব, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুল ওয়াদুদ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাকের নাতী মো. আনোয়ার হোসাইন, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুরের ছেলে আব্দুর রাশেদ প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও দিনব্যাপী ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ক্রেস্ট ও পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ। সমস্ত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সমাজসেবী সুজন মাহমুদ। -বিজ্ঞপ্তি

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল