আইপিএলের নবম আসরে মুস্তাফিজুর রহমানের দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে বলা হচ্ছে ডার্ক হর্স। কিন্তু কেন? ক্রিকেট বিশ্লেষকরা অন্যদলগুলোর তুলনায় এগিয়ে রাখছেন হায়দারাবাদকে। এর পেছনে কারণও রয়েছে। ১২ এপ্রিল হায়দরাবাদ তাদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে।
হায়দারাবাদের দলটিতে এবার বাহাতিদের মহাসমাবেশ ঘটেছে। সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টিতে কার্যকর পেস বোলিং আক্রমণ পেয়েছে ডেভিড ওয়ার্নারের দল। আশিস নেহরা, নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্টের সঙ্গে বাংলাদেশের কাটার মাষ্টার মুস্তাফিজুর রহমান। এই আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের যে রান পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হবে সেটা না বললেও হয়। ‘আমরা বেশ কয়েকজন দুর্দান্ত খেলোয়াড় পেয়েছি। দলটিও ব্যালান্সড। এই বছর কোন অজুহাত দেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাই। ছেলেরাও সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে।’-মন্তব্য অধিনায়ক ওয়ার্নারের।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বড় শক্তি হলো তাদের পেস বোলিং আক্রমণ। এবারই ইশান্ত শর্মার জায়গায় দলে নেওয়া হয়েছে আশিস নেহরাকে। নেহরার সঙ্গে জুটি গড়বেন মুস্তাফিজুর এবং ট্রেন্ট বোল্ট। তবে ভারতীয় কন্ডিশন বিবেচনায় মুস্তাফিজুরকে ভাবা হচ্ছে হায়দরাবাদের ট্রাম্পকার্ড। এই ট্রাকে তিনি কী করতে পারেন সেটা দেখা গিয়েছে বিশ্বকাপে। তিন ম্যাচে ৯ উইকেট। আবার টুর্নামেন্ট সেরা বোলিং ফিগারও মুস্তাফিজেরই। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলিং বিস্ময়। নেহরা, বোল্ট, মুস্তাফিজের সঙ্গে রয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার। এই চতুষ্টয় পেস বোলিং আক্রমণকে বানচাল করে দিতে নিশ্চিতভাবেই গলদঘর্ম হতে হবে বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানদের।
হায়দরাবাদের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রানখরার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। ওপেনার শিখর ধাওয়ান সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে চার নম্বরে নেমে ফ্লপ করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। চোটে পড়ে দুই সপ্তাহের জন্য বাইরে চলে গেছেন যুবরাজ সিং। দল ফাইনাল খেললেও এউইন মরগ্যান রানে নেই। তবে বড় মঞ্চের পারফরমারদের ফর্মে ফিরতে একটা ম্যাচই যথেষ্ট।