যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী নির্যাতন, শ্বাশুড়ি আটক

প্রকাশিত: ৪:২৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী নির্যাতন, শ্বাশুড়ি আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক:: যৌতুক না পেয়ে এক গৃহবধূর জিহ্বা ও পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। ওই গৃহবধূর স্বামী তাঁর সহযোগীদের নিয়ে এমনটি ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে সিলেট সদর উপজেলার পশ্চিম দর্শা গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

বর্বর হামলার শিকার গৃহবধুর নাম সোমা বেগম। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ব্যাপারে জালালাবাদ থানায় মামলার করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ ও সোমার পরিবারসূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে দক্ষিন সুরমার লামুয়া গ্রামের বেলাল মিয়ার সাথে বিয়ে হয় সোমা বেগমের। বিয়ের তিন বছরের মধ্যেই আরেকটি বিয়ে করেন বেলাল। আর এরপর থেকেই সোমার ওপর শুরু হয় স্বামীর নির্যাতন। নির্যাতন সইতে না পেরে এক বছর আগে বাবার বাড়ি সদর উপজেলার পশ্চিম দর্শায় ফিরে আসেন সোমা।

সোমার বড় ভাই হাফিজ মিয়া ও ভাবি রুমা বেগম জানান, সোমাদের বাড়িতে গিয়েও স্ত্রীর কাছ থেকে জোর করে টাকা আনতেন বেলাল। কিন্তু চাহিদামত টাকা দিতে না পারায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেলাল তার সহযোগীদের নিয়ে সোমার ওপর চালায় নির্মম নির্যাতন। ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে প্রথমে কেটে ফেলেন সোমার জিহ্বা। এরপর তার দু’পায়ের রগ কেটে ফেলার চেষ্টা করেন। একপায়ের রগ কেটে ফেলেন। কুপিয়ে জখম করেন অপর পা।

এ ব্যাপারে শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বেলাল ও তার পরিবারের সদস্যদের আসামি করে জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে আজ শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে অভিযান চালিয়ে মামলার অন্যতম আসামি বেলালের মা জয়বুন্নেসাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, “বেলাল তার পরিবারের লোকজনের প্ররোচনায় যৌতুক দাবি করে সোমার ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রধান আসামি বেলালের পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যদেরও ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। বেলাল এখনো পলাতক থাকলেও তার মা জয়বুন্নেসাকে গ্রেপ্তার করেছি আমরা। বেলালকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল