রাজাকার ইদ্রিসের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ৩:১১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০১৬

রাজাকার ইদ্রিসের মৃত্যুদণ্ড

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শরীয়তপুরের মৌলভী ইদ্রিস আলী সরদারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তার বিরুদ্ধে আনীত চারটি অভিযোগের মধ্যে প্রথম দুটিতে মৃত্যুদণ্ড, তৃতীয়টিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও চতুর্থটিতে সাত বছরের জেল দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন।

এর আগে গত ২ নভেম্বর উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষামাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল। এই মামলার আটক আরেক আসামি মো. সুলা্ইমান মোল্লা (৮৪) সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ২২ ডিসেম্বর শরীয়তপুরের মো. সুলাইমান মোল্লা ও ইদ্রিস আলী সরদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নিযাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ চার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৯ অক্টোবর তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে তদন্ত সংস্থা।

আসামিরা শরীয়তপুর জেলার পালং থানার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুর মুসলিম পাড়ার অধিবাসী।

তদন্ত সংস্থা সূত্র জানায়, সোলায়মান মোল্লা ১৯৬৩ সালের পর মুসলিম লীগের নেতা হিসেবে শরীয়তপুর জেলার পালং থানার সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। আর ইদ্রিস আলী ১৯৬৯ সালে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ‘ইসলামী ছাত্র সংঘের’ নেতা ছিলেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযোদ্ধের সময় ইদ্রিস ইসলামী ছাত্র সংঘের সক্রিয়কর্মী ছিলেন। গত বছরের ১৫ জুন থেকে সোলায়মান মোল্লা আটক ছিলেন।

ফেসবুকে সিলেটের দিনকাল