৪ঠা জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:১০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০১৬
সুন্দরবন রক্ষায় রামপালে কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বাতিলের দাবিতে সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। ঘোষিত কর্মসূচিতে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে ২৬ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়।
শনিবার বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সুন্দরবন বিনাশী সব প্রকল্প বাতিলসহ ৭ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে দিনব্যাপী গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন পালন শেষে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ২৩ নভেম্বরের মধ্যে সুন্দরবন বিনাশী প্রকল্প বাতিল না করলে ২৪ নভেম্বর থেকে ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচি এবং ২৬ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করা হবে।
কর্মসূচিতে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাসদ, বাসদ (মার্কসবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
সমাবেশে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, দেশ আজ গভীর সংকটের মুখে এসে পতিত হয়েছে। সরকার ভারতীয় কোম্পানির সঙ্গে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি করেছে। এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, ‘সেই আগুনে রাজনৈতিক পরিণতি কী হবে সেটা সরকারকে ভেবে দেখার জন্য আমি অনুরোধ করছি। রাজনীতিতে পরিবর্তন এনে হলেও সুন্দরবনকে রক্ষা করার সংগ্রাম অব্যাহত রাখব।’
কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনকে রক্ষা করার যুদ্ধ জীবন-মরণের যুদ্ধ। এই যুদ্ধে যদি বাংলাদেশের মানুষ পরাজিত হয় তাহলে আরো অনেক জায়গায় তার পরাজয় ঘটবে। এই বন নিঃশেষ হয়ে গেলে বাংলাদেশের সব বন নিঃশেষ হয়ে যাবে।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এই বন আমরা নিজেরা তৈরি করিনি, উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। এখানে অসংখ্য জীব-বৈচিত্র্য আছে যেগুলো হারিয়ে গেলে তা আর কখনো পাওয়া যাবে না।’
প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটি ১৬ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে যারা রয়েছে, তাদের পক্ষে ষোল’শ মানুষও হবে না। যদি সুন্দরবনের পশুপাখির ভাষা থাকত তবে তারাও বলত এই প্রকল্পটি বন্ধ কর। এই প্রকল্পটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী প্রকল্প।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেন, দেশ ও দেশের বাইরে মানুষ এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। সারা দেশে বিভিন্ন মুনাফাগোষ্ঠী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে শকুনের মতো চারদিক থেকে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। সুন্দরবন না থাকলে তাদের কোনো ক্ষতি নেই। তাদের কাছে সুন্দরবনের কোনো আর্থিক মূল্য নেই। কিন্তু ভূমির মূল্য লক্ষকোটি টাকা।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মস্তাক আহমদ পলাশ
সহ-সম্পাদক : জুমা কবীর মীম
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : উজ্জ্বল চৌধুরী।
মস্তাক আহমদ পলাশ কর্তৃক নিউ বর্ণমালা অফসেট প্রেস, রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও অনামিকা এ/৩৪ পূর্ব শাহী ঈদগাহ, সিলেট থেকে প্রকাশিত।
ইমেইল : sylheterdinkalnews@gmail.com,
ফেইসবুক পেইজ : The Daily Sylheter Dinkal ০১৭২২১৮৮৫৫১, ০১৭৫৫৮৬৬২২২, ০১৭১২৫৪০৪২০, শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by M-W-D